পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক না দুই ? ১৩৫ কেন ? বস্তুতঃ উভয়ই বর্তমান ; উভয়ের মধ্যে ভোক্ত ভোগা সম্বন্ধ । আত্মা ভোক্তা, জড় ভোগ্য । সাংখ্যদিগের ইহুষ্টি বোধ হয় পুরুষ ও প্রকৃতি । পুরুষ ভোক্তা, প্রকৃতি ভোগ্য ; আর পুরুষের প্রকৃতিভোগ ব্যাপার লইয়াই জডজগতের সহিত অন্তর্জগতের কারবার, এই দেনালেন, আনাগোনা । পুরুষ অজ্ঞেয়, প্রকৃতিও অজ্ঞেয় । তবে প্রকৃতি পুরুষের সম্মুখীন হস্তলে জডজগৎ তাহার প্রত্যক্ষ মূৰ্ত্তি লইয়া অন্তর্জগতের নিকট দণ্ডায়মান হয় । কেন দণ্ডায়মান হয়, কেন এমন দেখায়, এ প্রশ্নের উত্তর নাই * e এই দ্বৈতবাদকে মাজিয়া ঘসিয়া অদ্বৈতবাদে পরিণত করা না চলে, এমন নহে । জগৎ একটাই ; একেরই দুই বিভিন্ন মূৰ্ত্তি । একটা মূৰ্ত্তি বাহাজগৎ, দ্বিতীয় মূৰ্ত্তি মন্তর্জগৎ । একই সলার এক রূপ জড়, অন্ত রূপ চিৎ । একটা বক্ররেখার যেমন একপিঠ কুজ, অন্ত পিঠ মুক্তি, এক পাশ হস্ততে দেখিলে একরূপ দেখায়, অন্ত পাশ্ব হইতে অন্ত রূপ দেখায়, কতকটা সেইরূপ । উভয়ের এই সম্বন্ধ প্রকৃতিগত ; এ সম্বন্ধ আকস্মিক আগন্তুক সম্বন্ধ নহে ৷ এককে ছাড়িয়া অন্তের অস্তিত্ব না । জড় ছাড়া চিৎ নাই ; আবার অভিব্যক্তিবাদ মানিতে গেলে বলিতে হইবে, চিৎ ছাড়াও জড় নাই । মনুষ্য হইতে কাটাণু পৰ্য্যন্ত যদি চৈতন্তযুক্ত হয়, তবে অঙ্গার কণা ও জলকণা ও কেন চৈতন্তহীন হইবে ? কেন না, অঙ্গাঙ্ক কণা ও জলকণা লষ্টয়াই ত কীটপুদেহ ও মনুষ্যদেহ নিৰ্ম্মত ; প্রকৃতিগত বিভেদ কিছুই নাই । অঙ্গারকণাকে চৈতন্যযুক্ত বলিতে আপনি করি ও না ; চৈতন্য শব্দের প্রযোগে

  • যাহারা এই মতে অতি বিশদ ব্যাখ্যা দেখিতে চাহেন, তাহারা সাধনায় প্রকাশিত ৮ উমেশচন্দ্র বটব্যালের সাংখ্যদর্শন প্রবন্ধ সমূহ দেখিবেন । ঐ প্রবন্ধসমূহ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইয়াছে ।