পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እጫ8 জিজ্ঞাসা ও আরামে রাখিবার জন্য জগতের স্বষ্টি । জগতের অস্তিত্বের উদ্দেশুই এই । যে ব্যাপার এই উদ্দেশুের অমুকুল, তাহা মঙ্গল ও যাহা ইহার প্রতিকুল, তাহা অমঙ্গল । মঙ্গলের উৎপত্তি বেশ বুঝা যায় । কেন না, স্বষ্টিকৰ্ত্তার উদ্দেশুই তাহাই । কিন্তু অমঙ্গলের উৎপত্তি কিরূপে হইল, তাহ ঠিক বুঝতে পারা যায় না । এবং ইহা বুঝিবার জন্য মনুষ্যের বিজ্ঞানেতিহাসের আরম্ভ হইতে আজি পৰ্য্যস্ত গণ্ডগোল চলিতেছে । জীবকে সুখে রাখিবার জন্য ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন, অথচ অমঙ্গল সেই মুখের বিঘ্ন উৎপাদন করে । তবে অমঙ্গলের উৎপত্তি কেন হুইল ? ইহার প্রচলিত উত্তর নানাবিধ । একে একে উল্লেখ করা যাইতেছে । প্রথম, ঈশ্বর ইচ্ছাক্রমেই মঙ্গল ও অমঙ্গল উভয়েরই স্বষ্টি করিয়াছেন । জীবকে সুখ দেওয়া ও দুঃখ দেওয়া উভয়ই র্তাহার অভিপ্রায় । জীবকে সুখ ও দুঃখ দিয়াই তাহার আমোদ । এই তাহার লীলা । ইহাতে র্তাহার লাভ কি, তিনি জানেন । তিনি রাজার উপর রাজ, বাদশার উপর বাদশ ; তাহার অভিরুচির উপর কাহারও হাত নাই । তাঙ্গর খেয়ালের ৪ তাহার খেলার অর্থ তিনিই জানেন । এইরূপ নির্দেশে তর্কশাস্ত্র কোন ও দোষ দেখে না । কিন্তু ই তাতে ঈশ্বরের চরিত্রে নিতান্ত দোষ আসিয়া পড়ে । পরমকারুণিক, মঙ্গলময় প্রভৃতি কতকগুলি বিশেষণ, যাহা ঈশ্বরের পক্ষে একচেটিয়া রহিয়াছে, সেইগুলির আর প্রযোজ্যতা থাকে না । কাজেই এইরূপ উত্তর অগ্রাহা করিতে হইবে । কাজেই বলিতে হয়, ঈশ্বর সমুদয় মঙ্গলার্থে ষ্ট স্বষ্টি করিয়াছেন, তবে কি কারণে জানি না, মঙ্গলের সঙ্গে সঙ্গে অমঙ্গলও আসিয়া পড়িয়াছে ।