পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২ জিজ্ঞাসা উষ্ণ স্থলে তুলিতে গেলে তাহার সঙ্গে সঙ্গে অন্তত্ব শীতল স্থল হইতে শীতলতর স্থলে নামিয়া যায় । - ফলে বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডে তাপ ক্রমেই উষ্ণ হইতে শীতল দ্রব্যে চলিতেছে ; ক্রমেই তাপের কার্য্যোৎপাদন ক্ষমতা ধবংস হইতেছে ; যাহা ছিল গরম, তাহা শীতল হইতেছে ; যাহা ছিল শীতল, তাহাও হয়ত গরম হইতেছে । কিন্তু ভবিতব্য অবশ্যম্ভাবী ; শেষ পর্য্যস্ত জগতে বর্তমান সমস্ত তাপ একাকার উষ্ণতা প্রাপ্ত হইবেক । জগতের এখানটা গরম, ওখানটা ঠাণ্ডা, এরূপ শেষ পর্য্যস্ত থাকিবে না, সৰ্ব্বত্রই সমান গরম বা সমান শীতল হইয়া যাইবে । তখন তাপ থাকিবে বটে, কিন্তু সেই তাপকে কেহ কাজে লাগাইতে পারিবে না ; সেই তাপ হইতে কোন কাজ উৎপাদন করিবার কোন উপায় থাকিবেক না । জগৎযন্ত্র তখন নিশ্চল হইবে ; বিশ্বঘটিকার পেঙুলম তখন স্পন্দহীন হইবে ; চাকাগুলি আর নড়িবে না ; কঁটি থামিয়া যাইবে । সেই দিন জগতের মহাপ্রলয় । সেই মহাপ্রলয় নিবারণে মনুষ্যের কোন ক্ষমতা নাই—তবে তাপের অপচয় যথাসাধ্য নিবারণ করিয়া সেই শেষের ভয়ঙ্কর দিন যৎকিঞ্চিৎ বিলম্বিত করিবার ক্ষমতা মনুষোর হস্তে কিয়ৎ পরিমাণে আছে বটে। কিন্তু মনুষ্য কি সেই অপচয়ের নিবারণে চেষ্টা করে ? উনবিংশ শতাব্দীর স্পৰ্দ্ধিত বৈজ্ঞানিক উন্নতি এই তাপের অপচয় প্রতি প্ৰধান করিবার কোন চেষ্টা করিয়াছে কি ? বরং তাহার বিপরীত কা গুই দেখা যাইতেছে। প্রকৃতিদেবী কতকটা যেন দয়াপরবশ হইয়া যে মৃদঙ্গাররাশি ও কেরোসিন তৈলের রাশি অপরিণামদর্শী মনুষ্যের চক্ষুর অন্তরালে ভূগর্ভমধ্যে ভবিষাতের জন্ত সঞ্চয় করিয়া রাখিয়াছিলেন, আজ উনবিংশ শতাব্দীতে মনুষ্য তাহার সন্ধান পাইয়া সেই যুগান্তসঞ্চিত মহামূল্য সম্পত্তি নিৰ্ব্বিকারচিত্তে তুলিয়া আনিতেছে ও আপনার ক্ষণিক সুবিধা ও ক্ষণিক আরামের জন্য ভবিষ্যবংশধরগণকে