পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ জিজ্ঞাসা বাহজগৎ বা জড় জগৎ । নাম ও রূপ উভয় লইয়া সমগ্র প্রত্যক্ষ জগৎ—বৌদ্ধ মতে উভয় ছাড়িয়া আর তৃতীয় বস্তুর অস্তিত্ব নাই। নাম এবং রূপ একত্র যোগে নাম-রূপ বা সমগ্র জগং বৌদ্ধদৰ্শনের ভাষায় এই নামরূপ পদার্থ পাঁচটি স্কন্ধের সমষ্টি । বেদন, সংজ্ঞা, সংস্কার ও বিজ্ঞান, এই চারিটি স্কন্ধ একত্র যোগে নাম। আর ক্ষিতি, অপ্, তেজ ও মরুৎ, এই চারিটি মঙ্গভূতের সমষ্টি পঞ্চম স্কন্ধ অথবা রূপ। বেদন অর্থে sensation মাত্র অর্থাৎ অনুভূতি মাত্র বুঝতে হইবে । সংজ্ঞ। বলিলে বুদ্ধি বা প্রতীতি অর্থাৎ perception মাত্র বুঝিতে হইবে। তৃতীয় স্কন্ধ সংস্কারের অর্থ উপরেই বলা গিয়াছে ! এস্থলে সংস্কার অর্থে বেদনা ও সংজ্ঞা ছাড়িয়া অপর সমস্ত চিারুত্তি অর্থাৎ শোক হর্ষ, ঘৃণা লজ্জ, ভয় ক্রোধ, স্থতি, বিচার বিতর্ক, চেষ্টা প্রয়াস, ইত্যাদি সমস্ত বুঝিতে হইবে । সত্য বটে, উপরে সংস্কারশাদ আরও একটু বিস্তৃত অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে । বেদন ও সংজ্ঞা পৰ্য্যস্ত ংস্কারের অন্তর্গত বলিয়। কথিত হইয়াছে । এস্থলে সংস্কারকে বেদন ও সংজ্ঞা হইতে পৃথক্ করিয়া ধরায় একটু লজিকের দোষ ঘটে । কিন্তু সে দোয়টুকু ছাড়িয়া দিলে, বেদনা,সংজ্ঞা ও সংস্কার এই তিনের উল্লেখে সমুদয় চিত্তবৃত্তির উল্লেখ হইল। ইহাদের সহিত আবার বিজ্ঞান বা consciousness যোগ করিলে অন্তঃশরীর বা মনোজগৎ নিৰ্ম্মিত হইব । কিন্তু এই প্রকাও মনোজগৎ, যাহা লইয়া আমাদের এত কারবার, সুখনিদ্রার সময়েও আমরা যে জগৎ ছাড়িয়া পলাইতে পারি না, বৌদ্ধদর্শনের ভাষায় সেই প্রকাও মনোময় জগৎ একটা নাম মাত্র । কেবল একটা নাম ; ইহার প্রকৃত স্বরূপ কেমন, তাহ জিজ্ঞাসা করিও না । অন্তর্জগৎ ত একটা নামমাত্রে পরিণত হইল। বাহাজগৎ ব৷ জড়জগৎটাই বা আবার কি ? ক্ষিত্যাদি भशीघ्यं সমষ্টিরূপ এই বিশাল ব্ৰহ্মাণ্ড, যাহার মধ্যে 5ಕ್ಲ স্বৰ্য্য নক্ষত্র বালুকাসমান, যাহা