পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার অবিনাশিত ( GT গাছ দেখিতেছি ইহা ঠিক । কিন্তু ইহার ভিতরেও একটু গোল আছে । একটা কিছু বিশেষরকম বোধ জন্মিতেছে, এবং সেই বোধটির আমি নাম দিয়াছি গাছ দেখা’, এই পৰ্য্যন্ত ঠিকৃ। প্রত্যয় একটা জন্মিতেছে, এই টুকু স্বতঃসিদ্ধ ; গাছ দেখাটা তাহার, অর্থাৎ সেই প্রত্যয়ের সংজ্ঞা । একটা প্রত্যয় জন্মিতেছে এবং সেই প্রত্যয়ের একটা বিশেষ লক্ষণ নিরূপণ করিতেছি, যদ্বারা এই প্রতীতিকে অন্ত প্রতীতি হইতে পৃথক করিয়া চিনিয়া লইতে পারি ; এই পৰ্য্যন্ত আমার বলিবার সম্পূর্ণ অধিকার আছে । so প্রশ্ন উঠিতে পারে, প্রতীতিই যে জন্মিতেছে, তাহার প্রমাণ কি ? সেই জ্ঞানের অস্তিত্বেরক্ট প্রমাণ কি ? ইহার উত্তরে বলিব যে, ইহার প্রমাণ নাই ; স্বীকার করিতে চাও, ত এই মূল স্বতঃসিদ্ধ অবলম্বনে আর পাচটা কথা তুলিয়; তোমার সঠিত কথাবাৰ্ত্ত বিচারবিতর্ক করিতে ওস্তুত আছি । আর ইহা যদি অস্বীকার কর, তবে এই খানেই নিরস্ত হইতে হইবে । যুক্তি অবলম্বনে শেষ সীমায় একটা মূল সত্যে পৌছিতে হইবেই ; আপনার প্রত্যয়ের অস্তিত্ব, সেই মূল সত্য । ইহা উলটাইলে আর কিছু থাকিবে না । অথচ সকলেই ইহার অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া জীবন যাপন করিতেছেন । কোথাও বা ঠগিতে হয়, অধিকাংশ স্থলে ঠগিতে হয় না, তাঙ্গতে কিছু যায় আসে না । e তবেই স্বীকার্য্য, সম্প্রতি একটা বিশেষ লক্ষণ-লক্ষিত জ্ঞান জন্মিতেছে, যাঙ্গর সংজ্ঞা দিতে গিয়া-অামি বলি ‘গাছ দেখিতেছি । সেইরূপ আরও বিশেষ বিশেষ সংজ্ঞাবিশিষ্ট বিবিধ জ্ঞান জন্মিতেছে । যথা, ঐ হাতী দেখিতেছি, ঐ বাড়ী দেখিতেছি, এই তোমাকে দেখিতেছি, ঐ শব্দ শুনিতেছি, এই গরম বুঝিতেছি, এই চলিতেছি, খাইতেছি, ইত্যাদি । অপিচ, হাসিতেছি, কঁাদিতেছি, ভয়, দুঃপ, ঘৃণা, লজ্জা, ক্ষুধা, শীত অনু