পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ জিজ্ঞাসা এই সাত রঙের বিকাশ দেখা যাইবে । কিন্তু এইরূপ বর্ণনায় একটু আসল কথা, সেই আলোর মধ্যে আমরা নানা বণের দোষ আছে। এক পাশে থাকে লাল, অন্ত পাশে থাকে বায়লেট । বিকাশ দেখি । কিন্তু এই দুইয়ের মাঝে নানাবিধ রঙ বর্তমান থাকে, তাহার সংখ্যা নাই । ভাষাতে অত গুলা শব্দ নাই ও নাম নাই, কাজেই আমরা পাঁচ রঙ ছয় রঙ বা সাত রঙের নাম করি । বস্তুতঃ হরিৎ ও পীত এই দুইয়ের মাঝেই নানাবিধ বর্ণ থাকে। কোনটা পীতাভ হরিং, কোনটা হরিদাভ পীত। তফাত আছে, অথচ সেই তফাত দেখাইবার জন্ত ভাষায় নাম ও শব্দ নাই ; কাজেই ভাষাতে কুলায় না। প্রকৃত পক্ষে শাদা আলোর মধ্যে পীচ রকম বা সাত রকম মাত্র এত রঙ আছে যে আমরা তাহদের রঙ আছে বলিলে ভুল হয় । পীতবর্ণ আস্তে আস্তে পরিবৰ্ত্তিত হইয়| সকলের নাম দিতে পারি না । হরিতে দাড়ায়, হরিৎ আস্তে আস্তে নীলে দাড়ায় । কিন্তু এই পীত ও হরিতের মাঝামাঝি কত রঙ আছে ও হরিৎ ও নীলের মাঝামাঝি আবার কত রঙ আছে, তাহ বলাই যায় না । ভাষা এখানে পরস্ত । আমরা এই অসংখ্যেয় বণগুলিকে সোজাসুজি সাতটা শ্রেণীতে ভাগ করি । কতকগুলাকে বলি রক্ত, তাহার রক্তশ্রেণীভুক্ত ; কতকগুলা পীত বা পীতশ্রেণীভুক্ত ইত্যাদি । কাজেই স্বর্য্যের শুভ্র আলোক বিশ্লেষণ করিলে অ , ও বিবিধ বর্ণের আলোক পাওয়া যায় । এই বর্ণগুলিকে আমরা বিশুদ্ধ বর্ণ বলিব । বিশুদ্ধ বর্ণের অর্থ কি ? স্বৰ্য্যের আলো নিউটনের প্রণালী মতে কাচের কলমের ভিতর দিয়া লইয়া গেলে যে সকল বর্ণ দেখা যায় তাহাই বিশুদ্ধ বর্ণ । রামধনুতে যে সকল আলোক দেখা যায়, তাহার এই বিশুদ্ধ বর্ণের আলোক ! প্রকৃতিদেবী এখানে নিউটন সাজিয় জলকণাকে কাচের