এইৰূপে মৃগয়াবেশধারী দেশাধিপতনয়েরা ডবালকে চতুর্দ্দিকে বেষ্টন করিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। এই স্থলে পাঠকদিগের স্মরণার্থে ইহা লিখিলে অসঙ্গত হইবেক না যে ঐ কুমারদিগের মধ্যে এক জন পরে মেরিয়া থেরিসার পাণিগ্রহণ করেন এবং জর্ম্মনি রাজ্যের সম্রাট্ হয়েন।
এই ব্যাপার নয়নগোচর করিয়া সকলেই একবারে মুগ্ধ হইলেন; পরিশেষে যখন কতিপয় প্রশ্ন দ্বারা তাঁহার বিদ্যা ও বিদ্যাগমের উপায় সবিশেষ অবগত হইলেন তখন তাঁহারা বাক্পথাতীত বিস্ময় ও সন্তোষ সাগরে মগ্ন হইলেন। সর্বজ্যেষ্ঠ রাজকুমার তৎক্ষণাৎ কহিলেন তুমি রাজসংসারে চল আমি তোমাকে এক উত্তম কর্ম্মে নিযুক্ত করিব। ডুবাল কোন কোন পুস্তকে পাঠ করিয়াছিলেন রাজসংসারের সংস্রবে মনুষ্যের ধর্ম্মভ্রংশ হয়; এবং নান্সিতেও দেখিয়াছিলেন বড় মানুষের অনুচরেরা প্রায় লম্পট ও কলহপ্রিয়। অতএব অকপট বাক্যে কহিলেন আমার রাজসেবায় অভিলাষ নাই; বরং চিরকাল অরণ্যে থাকিয়া গোচারণ করিয়া নিরুদ্বেগে জীবন ক্ষেপণ করিব; আমি এই অবস্থায় সম্পূর্ণ সুখী আছি। কিন্তু ইহাও কহিলেন যদি মহাশয় আমার অপুর্ব্ব অপুর্ব্ব পুস্তক পাঠ ও সমধিক বিদ্যা ও জ্ঞান লাভের সুযোগ করিয়া দেন তবে আমি আপনকার অথবা যে কোন ব্যক্তির সমভিব্যাহারে যাইতে প্রস্তুত আছি।