পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ যেই সব শেয়ালের যেই সব শেয়ালের জন্ম-জন্ম শিকারের তরে দিনের বিশ্রুত অালো নিভে গেলে পাহাড়ের বনের ভিতরে নীরবে প্রবেশ করে,—বার হয়,—চেয়ে দেখে বরফের রাশি জ্যোৎস্নায় প’ড়ে আছে ;—উঠিতে পারিত যদি সহসা প্রকাশি সেই সব হৃদযন্ত্র মানবের মতো আত্মায় ঃ তাহ’লে তাদের মনে যেই এক বিদীর্ণ বিস্ময় জন্ম নিতে ;–সহসা তোমাকে দেখে জীবনের পারে আমারও নিরভিসন্ধি কেঁপে ওঠে স্নায়ুর আঁধারে । সপ্তক এইখানে সরোজিনী শুয়ে অাছে ;-- জানি না সে এইখানে শুয়ে অাছে কিনা ৷ অনেক হয়েছে শোয়া ;—তার পর একদিন চ’লে গেছে কোন দূর মেঘে । অন্ধকার শেষ হ’লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে ; সরোজিনী চ’লে গেল অতদূর ? সিড়ি ছাড়া—পাখিদের মতো পণখা বিনা ? হয়তো বা মৃত্তিকার জ্যামিতিক ঢেউ আজ ; জ্যামিতির ভূত বলে ; আমি তো জানি না। জাফরান-আলোকের বিশুষ্কতা সন্ধ্যার অণকাশে আছে লেগে ঃ লুপ্ত বেড়ালের মতো ; শূন্য চাতুরীর মূঢ় হাসি নিয়ে জেগে ।