পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কত তিথি,– কত যে অতিথি, কত শত যোনিচক্রস্থতি করেছিল উতলা আগমণরে । অণধ্যে অর্ণ লো—অণধেক আঁধারে মোর সাথে মোর পিছে এল তারা ছুটে ! মাটির বাটের চুমা শিহরি’ উঠিল মোর ঠোঁটে,—রোমপুটে ধু ধু মাঠ,—ধানক্ষেত,- কাশফুল,— বুনোইস,— বালুকার চর বকের ছানার মত যেন মোর বুকের উপর এলোমেলো ডান মেলে মোর সাথে চলিল না চিয়া | – মাঝপথে থেমে গেল তারা সব, শকুনের মত শূন্যে পাখী বিথারিয়া দূরে,--দূরে,—আরো দূরে,--আরে দূরে চলিলাম উড়ে', নিঃসহায় মানুষের শিশু এক,--অনন্তের শুক্ল অন্তঃপুরে অসীমের অঁ চলের তলে ! স্ফীত সমুদ্রের মত আনন্দের আগর্ত কোলাহলে উঠিলাম উথলিয়া দুরন্ত সৈকতে, দূর ছায়াপথে । পৃথিবীর প্রেতচোখ বুঝি সতস উঠিল ভাসি’ তারকা-দর্পণে মোর অপহৃত আননের প্রতিবিম্ব খুঁজি’ ! ভ্ৰাণ-ভ্ৰষ্ট সন্তানের তরে মাটি-মণ ছুটিয়া এল বুক-ফাট মিনতির ভরে,— সঙ্গে নিয়ে বোবা শিশু –বুদ্ধ মৃত পিত। সূতিকা-অালয় আর শ্মশানের চিতা । মোর পাশে দাড়াল সে গর্ভিণীর ক্ষোভে, মোর দুটি শিশু আঁখি-তারকার লোভে কাদিয়া উঠিল তার পৗনস্তন,—জননীর প্রগণ । জরায়ুর ডিম্বে তার জন্মিয়াছে যে ঈপ্সিত—বাঞ্ছিত সস্তান তার তরে কালে কালে পেতেছে সে শৈবাল বিছ না,— o শ। লতামালের ছায়া । ১২৬