পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজকে এ-রাত তোমার থেকে আমার দূরে দাড় করিয়ে দিয়ে তবুও তোমার চোখে আত্মা অগত্মীয় এক রাত্রি হয়ে রবে । তোমায় ভালোবেসে আমি পৃথিবীতে আজকে প্রেমিক, ভাবি ৷ তুমি তোমার নিজের জীবন ভালোবাস ; কথা এইখানেতেই ফুরিয়ে গেছে ; শুনেছি তোমার আত্মলোলুপতা প্রেমের চেয়ে প্রাণের বৃহৎ কাহিনীদের কাছে গিয়ে দাবি জানিয়ে নিদয় খৎ দেখিয়ে অtদtয় ক’রে নেয় ব্যাপক জীবন শোষণ ক’রে যে-সব নতুন সচল স্বর্গ মেলে ; যদিও আজ রাষ্ট্র সমাজ অতীত অনাগতের কাছে তমসুকে বাধা, প্রাণকাশে বচনাতীত রাত্রি আসে তবুও তোমার গভীর এরিয়েলে । ইতিহাসযান সেই শৈশবের থেকে এ-সব অণকাশ মাঠ রৌদ্র দেখেছি ; এই সব নক্ষত্র দেখেছি । বিস্ময়ের চোখে চেয়ে কতবার দেখা গেছে মানুষের বাড়ি রোদের ভিতরে যেন সমুদ্রের পারে পাখিদের বিষন্ন শক্তির মতো আয়োজনে নির্মিত হতেছে ; কোলাহলে— কেমন নিশিত উৎসবে গ’ড়ে ওঠে । একদিন শূন্যতায় স্তব্ধতায় ফিরে দেখি তারা কেউ অণর নেই । পিতৃপুরুষেরা সব নিজ স্বার্থ ছেড়ে দিয়ে অতীতের দিকে স’রে যায়,—পুরোনো গাছের সাথে সহমর্মী জিনিসের মতে হেমত্তের রৌদ্রে-দিনে-অন্ধকারে শেষবার দাড়ায়ে তবুও কখনো শীতের রাতে যখন বেড়েছে খুব শীত দেখেছি পিপুল গাছ আt র পিতাদের ঢেউ অণর সব জিনিস ঃ অতীত । তারপর ঢের দিন চ’লে গেলে আবার জীবনে।ৎসব ১৬৪