পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমস্ত সকালবেল এই কথা ভেবে পথ চ’লে যখন পথের রেখা নগরীতে—দুপুরের শেষে আমাকে উঠায়ে দিয়ে মৈথুন কালের সব সাপেদের মতো মিশে গেল পরস্পরের কায়ক্লেশে, তাকাতেই উ-চুনিচু দেয়ালের অন্তরঙ্গ দেশ দেখা গেল ; কারু তরে সর্বদণই ভীত হ’য়ে অাছে এক তিল ;– এ-রকম মনে হ’লো বিদ্যুতের মতন সহসা ; সাগর – সগর সে কি—অথবা কপিল ? এ-রকম অনুভব আমাকে ধারণ ক’রে চুপে স্থির ক’রে রেখে গেল পথের কিনগরে ; অণকণশ নিজের স্থানে নেই মনে হ’লো ; আকাশকুসুম তবু ফুটেছে পাপড়ি অনুসারে । তবুও পৃথিবী নিজে অতিভূত ব’লে ইহণদেরেণ নেই কোনো ত্ৰাণ ; সকলি মহৎ হ’তে চেয়ে শুধু সুবিধা হতেছে ; সকলি সুবিধা হ’তে গিয়ে তবু প্রধূমায়মান । বিতর্ক আমার মতো মানুষের তরে নয় তবু ; অণবেগ কি ক্রমেই অারেক তিল বিশোধিত হয় ? নিপ্পন ভীষণ লিপি লিখে দিলে সূর্যদেবীকে ; সৌরকরময় চীন, রুশের হৃদয় ।