পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

60 যারা সব পেয়ে গেছে তাদের উচ্ছিষ্ট, যারা কিছু পায় নাই তাদের জঞ্জাল ; অামি এই সব । সময়ের সমুদ্রের পারে কালকের ভোরে অণর অগঞ্জকের এই অন্ধকারে সাগরের বড়ো শাদা পাখির মতন দুইটি ছড়ানো ডানা বুক নিয়ে কেউ কোথাও উচ্ছল প্রাণশিখ। জ্বালায়ে সাহস সাধ স্বপ্ন আছে—ভাবে । ভেবে নিক--যৌবনের জীবন্ত প্রতীক : তার জয় ! প্রৌঢ়তার দিকে তবু পৃথিবীর জ্ঞানের বয়স অগ্রসর হয়ে কোন আলোকে পাখিকে দেখেছে ? জয়, তার জয়, যুগে-যুগে তার জয় ! ডোডো পাখি নয় । মানুষের বার-বার পৃথিবীর আয়ুতে জন্মেছে ; নব-নব ইতিহাস-সৈকতে ভিড়েছে ; তবুও কোথাও সেই অনির্বচনীয় স্বপনের সফলতা—নবীনতা—শুভ্র মানবিকতার ভোর ? নচিকেতা জরাথুস্ট্র লাওং-সে এঞ্জেলো রুশো লেনিনের মনের পৃখিবী হানা দিয়ে আমাদের স্মরণীয় শতক এনেছে ? অন্ধকারে ইতিহাসপুরুষের সপ্রতিভ আঘাতের মতো মনে হয় যতই শাস্তিতে স্থির হ’য়ে যেতে চাই ; কোথাও আঘাত ছাড়া—তবুও আঘাত ছাড়া অগ্রসর সূর্যালোক নেই হে কালপুরুষ তারা, অনন্ত দ্বন্দ্রের কোলে উঠে যেতে হবে কেবলি গতির গুণগান গেয়ে—সৈকত ছেড়েছি এই স্বচ্ছন্দ উৎসবে ; নতুন তরঙ্গে রৌদ্রে বিপ্লবে মিলনসূর্যে মানবিক রণ ক্রমেই নিস্তেজ হয়, ক্রমেই গভীর হয় মানবিক জাতীয় মিলন ? নব-নব মৃত্যুশব্দ রক্তশব্দ ভাতিশব্দ জয় করে মানুষের চেতনার দিন অমেয় চিন্তায় খ্যাত হ’য়ে তবু ইতিহাসভুবনে নবীন