পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘোড়া আমরা যাইনি ম’রে অজো—তবু কেবলি দৃশ্বের জন্ম হয় : মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রাস্তরে প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন—এখনও ঘাসের লোভে চরে পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর পরে । অগস্তাবলের ঘ্রাণ ভেসে আপসে এক ভিড় রণত্রির হগওয়ায় ; বিষঃ খড়ের শব্দ ঝ’রে পড়ে ইস্পাতের কলে ; চায়ের পেয়াল। ক'টা বেড়াল ছানার মতো—ঘুমে—ঘেয়ে। কুকুরের অস্পষ্ট কবলে হিম হ’য়ে ন'ড়ে গেল ও-পাশের পাইস-রেস্তর*াতে ; প্যারাফিন-লণ্ঠন নিভে গেল গোল অগস্তাবলে সময়ের প্রশাস্তির ফু’য়ে ; এই সব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্ধতার জ্যোৎস্নাকে ছুয়ে । সমীরূঢ় বরং নিজেই তুমি লেখোনকে একটি কবিতা—’ বলিলাম স্নান হেসে ; ছায়া পিণ্ড দিলে। ন উত্তর ; বুঝিলাম সে তে কবি নয়—সে যে আরূঢ় ভণিত : পাণ্ডুলিপি, ভাস্থ্য, টীকা, কালি আর কলমের পর ব’সে অাছে সিংহাসনে—কবি নয়—অজর, অক্ষর অধ্যাপক ; দাত নেই—চোখে তার অক্ষম পি চুটি ; বেতন হাজার টাকা মাসে —-অর্ণর হাজার দেড়েক পাওয়া যায় মৃত সব কবিদের মাংস কৃমি খুঁটি ; যদিও সে-সব কবি ক্ষুধা প্রেম আগুনের সেঁক চেয়েছিলো—হাঙরের ঢেউয়ে খেয়েছিলো লুটোপুটি ।