পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উঠেছে অনেক দরে ;–শোনা যায় কনিশে সিংহের গজন । হয়তো-বা ধলোসাৰ হ’য়ে গেছে এত রাতে ময়রবাহন ঃ এই দিকে বিকলাঙ্গ নদীটির থেকে পাঁচ-সাত ধন দরে মানুষ এখনও নীল, আদিম সাপড়ে ঃ রক্ত আর মৃত্যু ছাড়া কিছু পায় নাকো তারা খনিজ অমুল্য মাটি খুড়ে । এই সব শেষ হ’য়ে যাবে তব একদিন ;–হয়তো-বা ক্লাস্ত ইতিহাস শানিত সাপের মতো অন্ধকারে নিজেকে করেছে প্রায় গ্রাস । ক্লমে এক নিস্তব্ধতা ঃ নীলাভ ঘাসের ফুলে সর্টির বিন্যাস অামাদের হৃদয়কে ক্ৰমেই নীরব হতে বলে । যে-টেবিল শেষরাতে দোভাষীর—মাঝরাতে রাষ্ট্রভাষাভাষীর দখলে সেই সব বহু ভাষা শিখে তব, তারকার সন্তপ্ত অনলে হাতের আয়র রেখা আমাদের জন্বলে আজো ভৌতিক মুখের মতন ; মাথার সকল চুল হ’য়ে যায় ধসের –ধসরতম শণ ; লোকঐ, আমি, জীব আর নক্ষত্রের অনাদি বিবণ বিবরণ বিদষেক বামনের মতো হেসে একবার চায় শুধল হৃদয় জড়াতে । ফুরফুরে আগমনের থান তব: কাঁচিছটিা জামার মতন মন্ত হাতে তাহার নগ্নতা ঘিরে জন্ব’লে যায়—সে কোথাও পারে না দাঁড়াতে । নীলিমাকে যতদুর শান্ত নিমলি মনে হয় হয়তো-বা সে-রকম নেই তার মহানুভবতা । মানুষ বিশেষ-কিছু চায় এই পৃথিবীতে এসে অতীব গরিমাভরে ব'লে যায় কথা ; যেন কোনো ইন্দ্ৰধন পেয়ে গেলে খুশি হ’তো মন । পথিবীর ছোটো-বড়ো দিনের ভিতর দিয়ে অবিরাম চ’লে অনেক মাহত আমি এ-রকম মনোভাব করেছি পোষণ । দেখেছি সে-সব দিনে নরকের আগমনের মতো অহরহ রক্তপাত ; সে-আগন নিভে গেলে সে-রকম মহৎ অাঁধার, সে-অাঁধারে দুহিতারা গেয়ে যায় নীলিমার গান ; উঠে আসে প্রভাতের গোধুলির রক্তচ্ছটা-রঞ্জিত ভাঁড় ! সে-আলোকে অরণ্যের সিংহকে ফিকে মরভূমি মনে হয় ; মধ্য সমাদের রোল-মনে হয়—দয়াপরবশ ; . ՏՀC)