পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাথিবীর—আকাশের পরানো কে আত্মার মতন জেগে আছি ;—বাতাসের সাথে-সাথে আমি চলি ভেসে, পাহাড়ে-হাওয়ার মতো ফিরিতেছে একা-একা মন, সিন্ধর ঢেউয়ের মতো দলপুরের সমুদ্রের শেষে চলিতেছে ;–কোন এক দরে দেশ–কোন নিরসন্দেশ জন্ম তার হয়েছিল, – সেইখানে উঠেছে সে বেড়ে ; দেহের ছায়ার মতো আমার মনের সাথে মেশে কোন স্বপ্ন ? –এ-আকাশ ছেড়ে দিয়ে কোন আকাশেরে খুজে ফিরি —গহোর হাওয়ার মতো বন্দী হ’য়ে মন তব ফেরে । গাছের শাখার জালে এলোমেলো অাঁধারের মতো হৃদয় খুজিছে পথ, ভেসে-ভেসে,—সে যে কারে চায় ! হিমের হাওয়ার হাত তার হাড় করিছে আহত,— সে-ও কি শাখার মতো –পাতার মতন ঝ’রে যায় ! বনের বদকের গান তার মতো শবদ ক’রে গায় ! হৃদয়ের সমর তার সে যে কবে ফেলেছে হারায়ে ! অন্তরের আকাঙক্ষারে—সবপ্নেরে বিদায় জানায় জীবন-মন্তব্যর মাঝে চোখ বড়জে একাকি দাঁড়ায়ে ; ঢেউয়ের ফেনার মত ক্লান্ত হ’য়ে মিশিবে কি সে-ঢেউয়ের গায়ে ! হয়তো সে মিশে গেছে,—তারে খুজে পাবে নাকো কেউ । কেন যে সে এসেছিলো পৃথিবীর কেহ কি তা জানে । শীতের নদীর বসুকে অস্থির হয়েছে যেই ঢেউ শুনেছে সে উষ্ণ-গান সমুদ্রের জলের আহবানে । বিদ্যতের মত অলপ আয়ন তব ছিলো তার প্রাণে, যে-ঝড় ফুরায়ে যায় তাহার মতন বেগ ল’য়ে যে-প্রেম হয়েছে ক্ষুব্ধ সেই ব্যথর্ণ-প্রেমিকের গানে মিলায়েছে গান তার,—তারপর চ’লে গেছে ব’য়ে । সন্ধ্যায় মেঘের রঙ কখন গিয়েছে তার অন্ধকার হ’য়ে । তবুও নক্ষত্র এক জেগে অাছে,—সে যে তারে ডাকে ! পথিবী চায়নি যারে,– মানুষ করেছে যারে ভয় অনেক গভীর রাতে তারায় তারার মুখ ঢাকে তবুও সে —কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময় তাহার মানুষ—চোখে ছবি দেখে একা জেগে রয় ! মানুষীর মতো ? কিবা আকাশের তারাটির মতো,— সেই দরে-প্রণয়িনী অামাদের পথিবীর নয় । তার দৃষ্টি তাড়নায় করেছে যে আমারে ব্যাহত,— 8Ꮈ