পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতের মাথায় স্বপ্নে ন'ড়ে উঠে জানায় কি অদ্ভুত ইশারা । অাঁধারের মশা আর নক্ষত্র তা জানে— আমরাও আসিয়াছি ফসলের মাঠের আহবানে । সাযের আলোর দিন ছেড়ে দিয়ে পথিবীর যশ পিছে ফেলে শহর—ধন্দর–বস্তি—কারখানা দেশলাইয়ে জেলে আসিয়াছি নেমে এই খেতে ; শরীরের অবসাদ–হৃদয়ের জর ভুলে যেতে । শীতের চাঁদের মতো শিশিরের ভেজা পথ ধ’রে আমরা চলিতে চাই, তারপর যেতে চাই ম’রে দিলের অালোয় লাল আগমনের মুখে পড়ে মাছির মতন ; অগাধ ধানের রসে আমাদের মন আমরা ভারতে চাই গে"য়ো কবি—পাড়াগরি ভাঁড়ের মতন: জমি উপড়ায়ে ফেলে চলে গেছে চাষা নতুন লাঙল তার পড়ে আছে—পরোনো;পিপাসা জেগে আছে মাঠের উপরে ; সময় হকিয়া যায় পে'চা ওই আমাদের তরে ! হেমন্তের ধান ওঠে ফ’লে— দুই পা ছড়ায়ে বোসো এইখানে পথিবীর কোলে । আকাশের মেঠো পথে থেমে ভেসে চলে যায় চাঁদ ; অবসর অাছে তার—অবোধের মতন আহমাদ আমাদের শেষ হবে যখন সে চলে যাবে পশ্চিমের পানে, এটুকু সময় তাই কেটে যাক রুপ আর কামনার গানে । ফুরোনো খেতের গন্ধে এইখানে ভরেছে ভাঁড়ার ; পথিবীর পথে গিয়ে কাজনেই,কোনো কৃষকের মতো দরকার নেই দরে মাঠে গিয়ে আর; রোধ—অবরোধ -ক্লেশ—কোলাহল শনিবার নাহিকো সময়, জানিতে চাই না আর সম্রাট সেজেছে ভাঁড় কোনখানে— কোথায় নতুন ক’রে বেবিলন ভেঙে গড়ো হয় ; আমার চোখের পাশে আনিয়ো না সৈন্যদের মশালের আগমনের রং ; দামামা থামায়ে ফেল—পে'চার পাখার মতো অন্ধকারে ডুবে যাক রাজ্য আর সাম্রাজ্যের সঙ } এখানে নাহিকো কাজ—উৎসাহের ব্যথা নাই, উদ্যমের নাহিকো ভাবনা ; এখানে ফুরায়ে গেছে মাথার অনেক উত্তেজনা । অলস মাছির শব্দে ভরে থাকে সকালের বিষন্ন সময়, 6షి