পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাদের গতির ছন্দ—অবিরত শক্তির পিপাসা তাহাদের,—তব সব তৃপ্ত হয়ে পণ্যে হ’য়ে আসে । আমাদের কাজ চলে ইশারায়,—আভাসে-আভাসে । আরম্ভ হয় না কিছল,—সমস্তের তব শেষ হয়,— কীট যে-ব্যথতা জানে পথিবীর ধলো মাটি ঘাসে তারো বড় ব্যথতার সাথে রোজ হয় পরিচয় । যা হয়েছে শেষ হয়,—শেষ হয় কোনোদিন যা হবার নয় । ১৬ সমস্ত পথিবী ভরে হেমন্তের সন্ধ্যার বাতাস দোলা দিয়ে গেল কবে !—বাসি পাতা ভূতের মতন উড়ে আসে !—কাশের রোগীর মতো পথিবীর বাস,— যক্ষমার রোগীর মতো ধ:কে মরে মানুষের মন – জীবনের চেয়ে সচ্ছে মানুষের নিভৃত মরণ ! মরণ,—সে ভালো এই অন্ধকার সমুদ্রের পাশে ! বাঁচিয়া থাকিতে যারা হিচড়ায়—করে প্রাণপণ,— এই নক্ষত্রের তলে একবার তারা যদি আসে, — রাত্রিরে দেখিয়া যায় একবার সমুদ্রের পারের আকাশে । ՏԳ মৃত্যুরেও তবে তারা হয়তো ফেলিবে বেসে ভালো ! সব সাধ জেনেছে যে সে-ও চায় এই নিশ্চয়তা ! সকল মাটির গন্ধ আর সব নক্ষত্রের অালো যে পেয়েছে,—সকল মানুষ আর দেবতার কথা যে জেনেছে, আর এক ক্ষুধা তব-এক বিহৰলতা তাহারও জানিতে হয় ! এই মতো অন্ধকারে এসে !— জেগে-জেগে যা জেনেছে,—জেনেছে তা—জেগে জেনেছো তা, নতুন জানিবে কিছু হয়তো বা ঘুমের চোখে সে ! সব ভালোবাসা যার বোঝা হল,—দেখকে সে মৃত্যু ভালোবেসে ! ՏԵՔ কিবা এই জীবনেরে একবার ভালোবেসে দেখি — পথিবীর পথে নয়,—এইখানে—এইখানে ব’সে ;— মানুষ চেয়েছে কিবা ? পেয়েছে কি ?—কিছু পেয়েছে কি — হয়তো পায়নি কিছল,—যা পেয়েছে, তা-ও গেছে খ'সে অবহেলা ক’রে ক’রে কিহবা তার নক্ষত্রের দোষে ;– ধ্যানের সময় আসে তারপর,—স্বপ্নের সময় – শরীর ছি*ড়িয়া গেছে,–হৃদয় পড়িয়া গেছে ধৰ’সে — অন্ধকার কথা কয়—আকাশের তারা কথা কয় তারপর,—সব গতি থেমে যায়,—মছে যায়—শক্তির বিস্ময় ! 39