পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন যেন লেগনের মতো অামি অন্ধকারে কোন দরে সমাদের ঘর চেয়েছি—চেয়েছি, আহা"ভালোবেসে না-কেদে কে পারে তবুও সিড়ির পথে তুলে দিয়ে অন্ধকারে যখন গেলাম চলে চুপে তুমিও দেখনি ফিরে—তুমিও ডাকোনি আর–আমিও খুজিনি অন্ধকারে যেন এক দেশলাই জৰ'লে গেছে—জনলিবেই—হালভাঙা জাহাজের স্তুপে তোমারে সিড়ির পথে তুলে দিয়ে অন্ধকারে যখন গেলাম চ’লে চুপে । এই শাস্তি এইখানে একদিন তুমি এসে বসেছিলে—তারপর কতোদিন আমি তোমারে রয়েছি ভুলে—একদিন তুমি এসে বসেছিলে কখন এখানে মাছেছে জীবন থেকে—ফড়িঙের মতো আমি ধানের ছড়ার পরে নামি জীবনেরে বুঝিয়াছি ; আমি ভালোবাসিয়াছি—সেই সব ভালোবাসা প্রাণে বেদনা আনে না কোনো—তুমি শধ্যে একদিন ব্যথা হ’য়ে এসেছিলে কৰে সেদিকে ফিরিনি আর—চড়য়ের মতো আমি ঘাস খড় পাতার আহবানে চ’লে গেছি ; এ-জীবন কবে যেন মাঠে-মাঠে ঘাস হয়ে রবে নীল আকাশের নীচে আঘাণের ভোরে এক—এই শান্তি পেয়েছি জীবনে শীতের ঝাপসা ভোরে এ-জীবন ভেলভেট জ্যাকেটের মাছরাঙা হবে একদিন—হেমন্ডের সারাদিন তবুও বেদনা এলো—তুমি এলে মনে হেমন্তের সারাদিন—অনেক গভীর রাত—অনেক-অনেক দিন আরো তোমার মুখের কথা—ঠেটি রঙ চোখ চুল – এই সব ব্যথা আহরণে অনেক মহতে কেটে গেল, আহা ;—তারপর—তব শেষে শান্তি এলো মনে যখন বেগনি নীল প্রজাপতি কাঁচপোকা আবার নেমেছে মাঠে বনে । বুনো দ্বাস বেগনি বনের পারে ঝাউ বট হিজলের ডালপালা চুপে-চুপে নেড়ে কে যেন বিছাতে চায় নীড় তার গাছের মাথার পরে হাঁসের মতন ; তারপর দেখা দেয় একবার ;–নিজন বনের এই বিস্মিত হাসেরে দেখি আমি—রপোলি পালকে তার উড়—উড় জামপাতা ছায়া শালবন পড়িতেছে-কালো-কালো শাখা ডাঁট দলিতেছে ডিমের মতন বকে তার ; কোনো পাখি দেখি নাই তাহার সন্ধ্যার নীড়ে চোখ মেলে বসেছে এমন এমন কোমল স্থির নিরিবিলি পালকের রপো দিয়ে বনের অাঁধার 8ை