পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অাত্মপ্ৰতারিত করেছিলে—” ‘সেই ১৯২৫-এই এ-সব বুঝেছিলে তুমি ?” —“তা হলে তোমার মাথা বরাবরই বেশ ঠাণ্ডা। চন্দ্ৰনাথ ‘অার একটা অাটিকেল লিখেছিলে ভারতবর্ষের সঙ্গে অীয়াৰ্ণাণ্ডের প্যারালেলিজমকে নিয়ে-" পকেটের থেকে সোনার সিগারেট কেস বের করে চন্দ্ৰনাথ। .‘লেখো। নি ?” ‘লিখেছিলাম তো অনেক কিছুই ।” ‘তার পর আজকাল ?” —“সে খবরের কাগজ তো অনেক দিন হয় উঠে গেছে—” 'চিত্তরঞ্জন মারা যাবার অাগে ?” ‘না, মারা যাবার অাগে নয়, কিন্তু অামি ১৯২৩-এই ছেড়ে দিয়ে এসেছি—” "কেন ছেড়ে দিলে ? টাকা দিত না ?” ‘টাকা ন-দিত এমন নয় ---" “তবে ? ‘ভাল লাগছিল না। অার ; রাত্তির জেগে-জে গে, মেসে থেকে -থেকে শরীর ও খারাপ হয়ে যাচ্ছিল -" —“যা লিখতে বা প্রচার করতে সেই সব জিনিশে সম্পূৰ্ণ বিশ্বাস ও ছিল না বোধ করি ?” একটু হেসে — ‘সে-সব কথা এখন জিজ্ঞেস করছ কেন চন্দ্ৰনাথ ? ” —“ছিল বিশ্বাস ? ” ‘অামরা যা ভালবাসি, বিশ্বাস করি, সে পথে; চল বা অধিকার অামাদের মধ্যে খুব কম লোকেরই অাছে—- —‘অধিকার বোলো না— বলে। শক্তি ।” —“শক্তিই তো অধিকার সৃষ্টি করে—” —‘একটা সিগারেট খাবে ? , "তোমার এই গোলকে সটা তো ভারি সুন্দর —“মীর মহারানী অামাকে দিয়েছিলেন—” 8৮