পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিসিমা—সে যাক; সে কেঁচো খুড়ে কী-আর লাভ হবে মেজদা? আপনাকে যখন এসে ধরেছে হেম, তখন একটা ব্যবস্থা দিন।' ‘তোমরা মনে কর আমি একেবারে লাটসাহেব; চাকরি আমার পকেটে।’ পিসিমা গলা খাটো করে—আজকাল চাকরি-বাকরির যা হা-পিত্যেশ, কপালে অনেক পুণ্য না থাকলে কেউ পায় না।’ মেজকাকা—‘মানুষের চাকরি জুটিয়ে দেয় শ্বশুর কিংবা মামা। তোমার শ্বশুরকে খুঁজেছিলে ? পিসিমা—ওঁর শ্বশুর তো নেই।’ —‘নেই? কী হল তার ?’ —অনেকদিন হল মারা গেছেন। —তবে এমন জায়গায় বিয়ে করতে গেল কেন ?? —‘সে ভুল হয়ে গেছে, শোধরাবার উপায় নেই তো এখন আর।’ মেজকাকা—“বেঁচে থাকতে তোমার শ্বশুরমশাই করতেন কী ? —‘কোনো একটা স্টেটের ম্যানেজার ছিলেন। —ম্যানেজার না, নায়েব ?” —ম্যানেজার।’ —তা সেখানে গিয়ে নায়েবি করো না তুমি। পিসিমা—’হেম নায়েবি করবে? তা পোষায় না; সে ভুড়ি কোথায়? তার চেয়ে মাস্টারি করলে মানায়।’ —“সেখানকার নায়েব এখন কে ?” —জানি না।’ ജബ রই-বা কে ?” —‘কী একজন ব্যারিস্টার।’ —“তোমার শ্বশুর কি ব্যারিস্টার ছিলেন ?? -नों !' —“তবে ?” —“বোধকরি বি-এল পাশ করেছিলেন কিংবা—’ —ফেরেববাজ নিয়েই জমিদারি চালিয়ে নিয়েছে তো?” খানিকটা গলা খাকরে—আর ভুইঞা, তোমার, মামা তিনি করেন কী ? —তিনি পোস্ট অফিসে—’ —যাক, তবুও ভালো।’ —“ছোটখাটো জমিদার যেমন আছে, তেমনি আমার শালা ছোটখাটো কাজ করে—’ —“শালা কত টাকা পায় ?” —‘পচিশ।’ —‘এই সব আঁস্তাকুড়ের মধ্যে বিয়ে করলে তুমি? খানিকক্ষণ চুপ থেকে—অবিশ্যি চাকরির উমেদারির জন্য আমার কাছে এসেছ, দাদা দিয়েছেন পাঠিয়ে—তা অনেক বড়-বড় ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে আমার মোলাকাৎ Ꮤ❍ ☾