—‘না, না, কাল আবদুল্লার কাছ থেকে রাখল বউঠান। বললাম—ডিমটা ভালোই, তা তোমার I ? আপনার সঙ্গে । চাকরির সম্পর্কে কলকাতায় গিয়ে দেখা করব ?’ 'ছ-মাস আগে যদি দেখা করতে একটা কিছু করা যেতে পারত। —আবার সুযোগ আসবে।’ —“তোমার বাবার যেমন এসেছে।’ —“তদবির করতে দোষ কী ? —তুমি গেলে না কেন ? —যাওয়া হয়ে ওঠে নি; বিশ বছর আগের কথা, তখন রুচি প্রস্তুতি ছিল অন্য রকম।” —'কাজ শিখতে পারতে কিংবা প্লামবার অথবা ওয়াটার ট্যাঙ্ক-এর কাজ। এর কত রকম ডিপার্টমেন্ট আছে।’ —আবগারিরও তো ডিপার্টমেন্ট আছে। সেও মন্দ পুরস্কার নয়। অন্তত সাধনাশ্রমের থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তো। —আমি ভাবছি আবার সাধনাশ্রমেই ঢুকব। এইবার বেদিতে উঠব গিয়ে। সমাজের বন্ধু-বান্ধবরাও তাই বলছেন। —“তুমি না শুনেছিলাম ম্যানেজারি নেবে ? —‘কই? না।’ —‘পেলে না ?” —তোমরা আমার সম্বন্ধে কত অভূতপূর্ব কথাই শোনো, সাহেবের সেক্রেটারি সুনন্দ পৰা পছন্দ ইনসিওরেন্সে বড় চাকরি शष्ठेि ।।' —“তোমার সম্বন্ধে কোনো গুজবে আমরা বিশ্বাস করি না মেজদা। সংসারেব লোকেদের চিনি না কি? মানুষকে ঈর্ষা করে তার সম্বন্ধে মিছিমিছি কত কুচ্ছা রটিয়ে বেড়ায়।’ —‘অবিশ্যি যা পেনশন পাচ্ছি আমি, তাতে আমার চলে না। চাকরি একটা পেলে ভালো হয়। আমাকে কথা দিয়েছিলেন, কিন্তু কাজে লাগালেন না। একজনকে নিলেন। ইনসিওরেন্সের মামাবাড়ির খবর জানি রে কিন্তু আমড়াগাছি করতে পারি না বলেই তো আজও পেলাম না। তা, এই পুজোর পর একটা পাবার আশা আছে। একটা বড় কোম্পানিতেই ৫০০ করে মাইনে দেবে।’ পিসিমা, একটু চুপ থেকে, ‘হেমকেও একটা কিছু জুটিয়ে দাও না।’ —‘ওর হবে ওর বাবার মতো।” —‘কী রকম ? : —‘থোড় বড়ি খাড়া—খাড়া বড়ি থোড়। —তা তোমরা একটু চেষ্টা করে— —“বেশ তো, ইনসিওরেন্সে একটি এজেন্সি নিক না; নেবে এজেন্সি ? চুপ করে ছিলাম। মেজকাকা—‘কত ছেলে থার্ড ক্লাস ফোর্থ ক্লাস আদি পড়ে ইনসিওরেন্সের এজেন্সি নিয়ে বেড়াচ্ছে। আর তুমি এম-এ পাশ করে নিতে ভয় পাও?’ ᏰᏇ Ꮔ
