পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—'খালি পায় মাটিতে হাটো ?” —‘হ্যা।’ —ঠাণ্ডা লাগে যে ? —আমার বোতল ভেঙে গেছে।’ —“কিসের বোতল ?’ —দুধের। দাদু কিনে দেবে আবাল। —জুতো কে কিনে দেবে ? —দাদু।’ —তাই তো, দাদু তোমার জীবনের বড় মূল্যবান জিনিশ, যখন বড় হয়ে উঠবে তুমি, না থাকবে দাদু, না থাকবে ঠাকুমা, তখন কী করবে তুমি ? বোঝে নি। ভবিতব্যতার অন্ধকারে ঘেরা এই পৃথিবীর পথে চলতে চলতে একএকটা ইদুরের ছানার অবস্থা মাঝে-মাঝে যে-রকম হয়—তেমনি হয়েছে এই মেয়েটির। —'খুকু একটা ছড়া শুনবে ? —'ছড়া কী ? —‘কবিতা।’ —“কোপাতা কী ?’ —“শোনো।’ —'খুকুরানী-খুকুরানী অন্ধকার রাতে ‘বাবা’ —‘কী মা ? —“আবার বলো—’ —আচ্ছা তুমি আমার সঙ্গে-সঙ্গে বলো—খুকুরানী-খুকুরানী, বলো’ —'কুকুলানি—কুকুলানি’ —‘অন্ধকার রাতে —‘অন্ধকার লাতে —অনেক কথা বলেছিস—এখন ঘুমো।’ —‘জল খাব বাবা।” একটু জল গড়িয়ে এনে দিলাম। গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম উষ্ণতা আরো বেড়েছে যেন। —'খুকু ーや労?” —ব্যথা করে ?” —“বেথা কোলে |’ —“কোথায় ?” —‘বাতাস দাও।” বাতাস দিতে-দিতে—'খুকুরানী। —“উ” —আমি কলকাতায় চলে যাব যে—’ وا\(يا\