‘কোথায় জার্মান পাবেন কলকাতায় আজকাল ?’ সেজন্যে একটু মুশকিল হচ্ছে।’ ‘কোথায় পেলেন খণটি ফরাসি, কলকাতায় ?” ‘দু জন ফরাসি মেমসাহেব পেয়েছিলুম পার্ক স্ট্রিটের দিকে । তারা এখনো আছেন কিনা জানি না । তবে শিখে নিয়েছি, বইটই পড়তে পারি। কিন্তু ফ্রান্সে-প্যারিসে না গেলে, লোকজনের সঙ্গে কথা না বললে এ ভাষায়—’ 'চেকনীই থাকে না ? 'চেকনাইয়ের ভাষা কি ফরাসি ?’ “চিপটেন কণটণর ভাষা তে। ” 'পড়েছেন ভিলো অপনি ?’ না খুঁজেছিলুম বটে। পাই নি কোথাও । বদনাম আছে ভিলেণর ' ‘অামার কাছে অ};ছ ভিলো—’ ‘সে তো শাহি ফরাসিতে' ‘কানে শুনে নেবেন সেই ফরাসি, বাৎলে দেব জ্যামিতিক ইংরেজিতে—' দীর্ঘছন্দ শরীরে একটু কুঁজে হয়ে হেসে বললে নমিত । নমিতা -- ষিsক =ন্ত্যামিতিক ? ভাবছিল নিশীথ । ‘সাহিত্যটা জ্যামিতিক হয়ে যাবে না তো ?’—নিশীথ বললে । ‘কেন ? ‘ইংরেজিটা ন্যামিতিক বলছেন ? 'টিন খসিয়ে সিগারেট বার করে নিল একটা ।” জ্বলিয়ে নিয়ে বললে, “এটা তো চিপটেনের ভাষা হল অণপনার । জিতেন কি অণর সাহিত্যের খোজ-খবর নেয় ? সময় কোথায় তার ? তা ছাড়া সুকুমার বিদ্যের পথ দিয়ে ও মানুষ হয়ে ওঠে নি। তবুও মনটা কুঁকড়ে যায় নি ওর, বেশ সরস আগছে । ভিলো অবিশ্যি তর্জমা করে শেণনাই নি ওকে, তবে আনাতোল ফ্রাসের কড়া ভিয়েনে মাঝে-মাঝে চড়িয়েছি ।” বলতে-বলতে নিশীথের দিকে বড়, ভরণ চোখ মেলে তাকাল নমিতা । অণনাতোল ফ্ৰণসের প্রণয় সব বই-ই পড়েছে নিশীথ । ফ্ৰণসের কড়া ভিয়েন এটা ওটা সেটা অনেক কিছুই তো হতে পারে । কিন্তু এ-গুলোর মধ্যে কোনটা সম্প্রতি লক্ষ্যস্থল নমিতার, উপলব্ধি করে নিশীথ টিনের দিকে হাত বাড়িয়ে ゞb"