পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কী থাবে ?’ কোনো উত্তর দিল না হারীত । একটা উত্তরের জন্যে হগরীতের দিকে শক্ত কপালে থুতনি কঠিন করে তাকিয়ে থেকে সুলেখা বললে, "এ তো গেল কলেজের মাস্টারদের কথা । কিন্তু ইস্কুলের মাস্টারদের কী হচ্ছে না হচ্ছে, কী খায় কী করে, সে হিসেব রেখে আর কী হবে তোমাদের ; কিষাণ-মজদুরের বন্ধু তোমরা । কলকাতার মত বড়-বড় শহরের মজদুরদের চেয়ে মফস্বলের বেসরকারি সেকেণ্ডারি প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারদের অবস্থা ঢের খারাপ। অথচ দেশ তাদের কাছ থেকে, খাওয়ার না হোক, পরপর ভদ্রতা বেশি দাবি করে, আণর পড়বার মর্যাদার পণ্ডিত্যের । এত বড় বেইজ্জতের জিনিস পনেরই আগস্টের পরেও টিকে আছে ইউনিয়নে অণর পাকিস্তানে । মাস্টারদের শিক্ষা-দীক্ষা চরিত্র স্বাৰ্থত্যাগের সঙ্গে যাদের কোনো তুলনাই হয় না তারা তো তারা, তাদের পিওন পেয়াদণরণও পে-কমিশনের দৌলতে ডাৰ্বি টিকিট কিনছে, রেঞ্জার্স টিকিট কিনছে, রেসে বাজি ধরছে, ইনসিওরেন্স করছে, ক্যাশ সেভিং সাটিফিকেট কিনছে, কলকাতার সেক্রেটারিয়েটের ক্যাণ্টিনে মেয়েমানুষ নিয়ে ঢুকে খেয়ে ডিসপোজাল থেকে শখের জিনিস কিনে দিচ্ছে তাকে—আমি নিজের চোখে দেখেছি হারাত—হয় তো কোনো মাস্টার কেরানির মেয়ে বা শালি হবে—পিওনের পে-কমিশন খাচ্ছে এখন ; ব্ল্যাক মার্কেট থেকে শাড়ি-সায়া-ব্লাউজ-ফলন-দফনা কিনে দিয়ে পেয়াদীরা স্ত্রী ভজগতে ছাড়বে কেন, দেখছে টাকায় ভাল স্ত্রীদের ও ভজানো যায়, হাতিবাগান অণর শেয়ালদণ বাজার থেকে ডগল-মাছ-তরকারি-দুধ খেয়ে শরীরটাকে চাঙ্গণ করে নিলে, পে-কমিশন পিঠ চাপড়ে লেলিয়ে দিলে কেন সে সব স্ত্রীলোকদের হাতড়াবে না তারা, এদের স্বামীরা শিক্ষিত উন্নত হলেও টাকার অভাবে বেীকে খাওয়াতে পারছে না, ছেঁড়া ন্যাকড়া পরতে দিচ্ছে । এ তো গেল পেয়ণদণ পিওনের পে-কমিশন । তাদের মাথার ওপরে যারা পে-কমিশন পাচ্ছে তারা তো মাচায় চড়ে খাচ্ছে । কে পে-কমিশন বসলি ? কেন বেসরকারি ইস্কুলকলেজের মাস্টাররা পে-কমিশনের সুবিধে পাচ্ছে না । কেন বেসরকারি ইস্কুল-কলেজ আজও টিকে আছে ? সেগুলোকে হামান-দিস্তায় ছেচে ফেলা হচ্ছে না কেন ? কেন সব ইস্কুল-কলেজ স্টেটের হাতে নেওয়া হচ্ছে না ? গভর্নমেন্টের কেরানি তো ভাল, গভর্নমেন্টের পিওন-পেয়দাদেরও আজ “GGG