পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেকে বলছে । নিশীথ মাথা নেড়ে বললে, 'ভুল বলেছে । কথা বলে নেশা জমিয়ে দিতে চণয় ওরণ । বড় সর্বনেশে লোক । ওদের চেয়ে আণমি বেশি জগনি । ‘কী জানো তুমি । রণনু কোথায় আছে জানো ? ‘আমি খুঁজে দেখব । সুমন একটা নিশ্বাস ফেলে বললে, “আমি কিছু জানি না । মেয়েকে হাত ধরে নিয়ে আসতে হবে দেশে । স্টেশন থেকে বেডিয়ে নিয়ে আসতে তুমি ওকে রোজ সন্ধ্যায় ; চোত মাসের মেলার থেকে হাতে ধরে ঝড়-বাতাসের, কুBBBBB BBB BBBBB BBB BBB S BB BBBB BBBB BBBS BB যে অত সন্তৰ্পণ ও তো চাদ–কু-বাতাসে ওর করবে কী— কিছু ক্ষণ চুপ থেকে সুমনা বলল—“কিছু করেছে বটে কু-বাতাসে । ভানুর খবর কী ? ‘এই তো সাচ্ছি কলকাতায়, কাচড়াপাড়ায় নামব একবার 1’ “শনিবার-শনিবার যেও কিন্তু কাচড়াপাডায় । রববারটা থেকে এসো, ওর মাম আছে বটে ওখানে । কিন্তু সে তো কোনোদিন ডেকে জিজ্ঞেস করত না ; এখন কি গা দেবে ? নিশীথ চলে গেল একটু বাইরের হাওয়া খেয়ে আসতে । কলেজের ফিলজফি-লজিকের অধ্যাপক মহিম ঘোষণল তার পরিবণর নিয়ে নিশীথদের ভাডণটে বাডিটার একটা অংশে রয়েছে । বাড়িটা এক তলা । ছাদে ওঠার সিড়ি আছে । সব নিয়ে ছট ঘর – দুটে রান্নাঘর, দুটো স্নানের ঘর আগছে । রণন্না ও স্নানের একটা-একটা ঘরই ছিল । অধ্যাপক দুটি, চণদণ করে যুদ্ধের আগে সস্তার মরশুমে দুটো বাড়তি ঘর তৈরি করিয়ে নিয়েছিল । বাড়িটার দক্ষিণ দিকের অংশে নিশীথর দু বছর থাকে—উত্তরের ভিটেয় মহিমরা । ৫ বছর কেটে গেলে নিশীথদের উত্তরে যেতে হয়, মহিমদের তখন দক্ষিণয়ন । এমনি করে বার বছর এ-বাড়িতে বেশ অজ্ঞাতবাসে কেটেছে নিশীথের । দিনগুলো মন্দ ছিল না । কলেজের কাজে মাইনে বেশি ছিল না, ঝঞ্জণটও তেমন কিছু ছিল না । স্বাধীনতা ছিল এক রকম । মফস্বলের উঠানের—মাঠের ঘাসের মতন একটা সহজ দিবাতা ছিল হৃদয় শরীরের নিলিপ্তি ও শান্তিকে পরিব্যাপ্ত করে । উত্তেজনা, উৎসব, মহৎ আকাজক্ষার দূরতীয় ভাবুক নিশীথকে দিয়ে কথা ভাবাত, মাঝে-মাঝে দু-চারটে লিপি লিখিয়ে নিত—খুব সংক্ষেপেই। \ყ6;