পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○○ পরিশ্রম এবং দীর্ঘকালাভ্যস্ত সৌখিন জীবনের পরিবর্তে, কঠোর সংগ্ৰামময় জীবন যাত্রার ফলে, অচিরেই তাহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয় এবং ১৯২৫ খ্ৰীঃ অব্দের প্রথমভাগে তিনি বিশ্রাম লাভের জন্ত প্রথমে বঁকিপুর ও তৎপরে দীরজিলিং গমন করেন । এই শেষোক্ত স্থানে র্তাহার জীবনান্ত হয় । চিত্তরঞ্জন যৌবনের প্রথম হইতেই সাহিত্য রসিক ছিলেন । ১৮৯৫ খ্ৰীঃ অবো তাতার প্রথম কবিতা পুস্তক *মালঞ্চ” প্রকাশিত হয় । তৎপরে ক্রমে ১৯০৪ খ্ৰীঃ অব্দে ‘মালা’, ১৯১৩ খ্রীঃ আবে ‘সাগর সঙ্গীত’, ও তাহীর দুই বৎসর পরে অন্তর্যামী’ নামক কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয় । তাহীর অপর কাব্য গ্রন্থের নাম 'কিশোর কিশোরী’। এতদ্ভিন্ন তিনি কয়েক বৎসর নারায়ণ নামক একটি মাসিক পত্রিকা ও প্রকাশ করিয়াছিলেন । চিত্তরঞ্জনের পূর্ব পুরুষদের মধ্যে অনেকেই দানশীলতার জন্ত খ্যাত ছিলেন । তাহার পিতা ভুবন মোহন ( মৃত্যু ১৯১৪ খ্ৰী: ) এক বন্ধুর জন্ম প্রতিভূ হইয়া, ১৯০৬ খ্ৰীঃ অব্দে দেউ লিয়। হষ্টতে বাধ্য হন । মাত্র সাত বৎসরের মধ্যে চিত্তরঞ্জন পিতার ঋণের সমুদয় অর্থ আদালতে জমা দিয়া দেউলিয়৷ হইতে পিতাকে মুক্ত করেন । তাহার এই অনন্যসাধারণ কাৰ্ঘ্যের ভারতীয়-ঐতিহাসিক छिंखब्रछ अं জন্য র্তাহার প্রশংস৷ সৰ্ব্বত্র বিস্তৃত হয় । চিত্তরঞ্জনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধুরা জানেন যে, তিনি গোপন দানে কিরূপ মুক্ত হস্ত ছিলেন । প্রার্থীরা অনেক সময়ে অপ্রত্যাশিত অর্থ পাইয়া বিস্মিত হইতেন । এই দানে কখনও ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের জন্ত চিস্তা মাত্র করিতেন না। ১৯২১ খ্ৰীঃ অব্দের ডিসেম্বর মাসে, বঙ্গদেশে যে হরতাল অনুষ্ঠিত হয় তাহাতে তাহার একমাত্র পুত্র চিররঞ্জনকে আইন অমান্ত করিতে প্ররোচিত করিয়া, তিনি বলিয়াছিলেন ‘নিজের ছেলেকে ধরে রেখে, পরের ছেলেকে বলতে পারি না জেলে যা ও’ । রাজনীতি ক্ষেত্রের কার্য্যস্থত্রে এবং সামাজিক ব্যাপারে র্যাহার। র্তাহার সহিত ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশিয়াছিলেন সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করিতেন তাহার দ্যায় বন্ধুবৎসল, উদীর হৃদয়, পরোপ কারী ব্যক্তি বাঙ্গালা দেশে অধিক জন্মগ্রহণ করে নাই । বন্ধুবান্ধবগণকে অকপটে বিশ্বাস করিয়া তিনি অনেকবার প্রভূত আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করিয়াছেন । অনেক স্থলে আশা ভঙ্গ জনিত মনোকষ্ট পাইয়াছেন, তথাপি কেহ তাঁহাকে কখনও অসুযোগ করিতে শুনেন নাই । দেশের একাধিক মনীষী তাছার নিকট হইতে দীর্ঘকাল ব্যাপিয়। অর্থ সাহায্য পাইতেন । তাছার প্রদত্ত অর্থই, কাহারও