ԳՀՖ مـخـتـعـ തു് জ্যোতিষচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য এম, এ ; বি, এল ; রায় বাহাতুর—তাহার জন্মস্থান যশোহর জিলার অন্তর্গত হরিশঙ্করপুর। কিন্তু তাহার কৰ্ম্মস্থান বিছার প্রদেশের পূর্ণিয়া জিলায় ছিল । তিনি ঘোর দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করিয়া অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । এই ংগ্রামে র্তাহার চরিত্রের মাধুৰ্য্য শতগুণ বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল । তিনি সংযমী, নিষ্ঠাবান ও ধৰ্ম্মভীরু ব্যক্তি ছিলেন । তিনি ইংরেজী, বাঙ্গাল ও সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন। পূর্ণিয়ার তিনি শ্রেষ্ঠ ব্যবহারজীবী ছিলেন। সুবক্তা বলিয় তাহার বিশেষ থ্যাতি ছিল । বিহার প্রবাসী বাঙ্গালী সমাজে তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন । সেজন্য বিহারের বাঙ্গালী সমাজ র্তাহাকেই বিহারের ব্যবস্থাপক সভার ঝ दिब्लञ কুমারী, মহারাণী—পাঞ্জাব রাজ হইয়াছিলেন । | সের সিংহের নিধনের পরে দলীপ সিংহ কেশরী মহারাজ রণজিৎ সিংহের অন্ততমা পত্নী ও মহারাজ দলীপ সিংহের জননী । ১৮৩৯ খ্ৰীঃ অব্দে মহারাজ রণজিৎ সিংহ পরলোক গমন করেন । তাহার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই র্তাহার সুগঠিত মুনিয়ন্ত্রিত রাজ্য অন্তর্বিপ্লবে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হইতে লাগিল । প্রথমে খড়গ সিং, তৎপরে নেওনেহাল সিংহ ও তাহার পরে সের সিংহ পাঞ্জাবের 試)ーRS ভারতীয়-ঐতিহাসিক জ্যোতিষচন্দ্র সদস্ত পদে লরণ করিয়াছিলেন । র্তাহার মুচিন্তিত ও পণ্ডিত্যপূর্ণ বস্তৃতায় সকলেই মুগ্ধ হইতেন । তিনি নানাবিধ দায়ীত্বপূর্ণ বিষয় কার্য্যে লিপ্ত থাকিয়া ও সাহিত্যচর্চা করিতেন। ভারতবর্ষ প্রভৃতি মাসিক পত্রে তাহার প্রবন্ধ প্রকাশিত হইত। বিহারে কার্য্যামুরোধে তাহাকে অবস্থান করিতে হইলেও, তিনি জন্ম ভূমির কথা ভুলিয়া যান নাই। তিনি স্বগ্রামে পিতার নামে একটী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় ও মাতার নামে একটী দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়া, ম্যালেরিয়। প্রপীড়িত জনসাধারণের বিশেষ উপকার সাধন করিয়াছেন । এই স্বদেশ ও স্বজাতিবৎসল পরোপকারী মহাত্মা অকালে ১৩৩৬ সালের অশ্বিন মাসে পরলোক গমন করিয়া CER | ১৮৪৩ সালে রাজ। হইয়াছিলেন । র্তাহার মাত! মহারাণী ঝিন্দন নাবালক রাজার পক্ষে রাজ্য পরিচালনা করিতে লাগিলেন । হীরা সিংহ প্রধান মন্ত্রী হইলেন। লাল সিংহ মহারাণীর প্রিয়পাত্র ছিলেন। হীরা সিংহ ইহার প্রতিবাদ করিতে যাইয়। নিহত হইলেন এবং মহারাণীর ভ্রাতা জবহির সিংহ প্রধান মন্ত্রী হইলেন।
