পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S86. গ্রন্থের অনুকরণে আরও অনেকে রামায়ণ রচনা করেন । কিন্তু তাহা দের মধ্যে কোনটিই কৃত্তিবাসের রামায়ণ অপেক্ষা অধিক জনপ্রিয় হইতে পারে নাই । কৃত্তিবাসের রামায়ণ আনুমাণিক ১৩৪০ শকে রচিত হয়। পরবর্তীকালে র্যাহারা কৃত্তিবাসের অমু করণে অপর রামায়ণ রচনা করেন, তন্মধ্যে পাবনা জিলার অমৃতকুণ্ড গ্রাম নিবাসী অস্তুতlচাৰ্য্য উপাধিধারী কবি নিত্যানন্দই প্রধান । তাছার গ্রন্থও বিশেষ জনপ্রিয় হইয়াছিল এবং তৎফলে অনেক সময়ে গাহিবার সময়ে গায়ক গণ একের রচিত পদ অন্ত্যের রচনার সহিত সংযোগ করিতেন । এইভাবে মূল কৃত্তিবাসের রামায়ণে অনেক জিনিস প্রক্ষিপ্ত হয় । ১৮০৩ খ্ৰীঃ শ্ৰীরামপুরের খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম যাজকগণ কৃত্তিবাসী রামায়ণ প্রথম মুদ্রিত করেন । তাহার অবং বিভিন্ন পুথি মিলাইয়া প্রকৃত কৃত্তিবাস রামায়ণের পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করেন নাই। তাহা হইলেও ঐ মুদ্রিত পুস্তক অতিশয় আগ্রহের সহিত শিক্ষানুরাগী বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে স্থান পাইয়াছিল । এযাবৎকাল প্রধানতঃ ঐ ক্রীরামপুরী কৃত্তিবাসী রামায়ণই দেশে প্রচলিত । কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আধুনিক বটতলার রামায়ণের আদর্শ স্থানীয় জীরামপুরী রামায়ণ বিশ্বাসযোগ্য পুথি సె=k g ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৃপালঙ্গ হইতে সংগৃহিত নহে। এখন কৃত্তিবাসী রামায়ণ বলিয়। যাহা বিক্রয় হয়, মূল কৃত্তিবাসী রামায়ণ হইতে তাহাকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র গ্রন্থ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । কৃত্তিবাসী খাটি রামায়ণ বহুল পরিমাণে আধুনিকতার আবরণ, ংস্কৃতের প্রলেপ, প্রক্ষিপ্তের উৎপাত, পাঠান্তরের সমাবেশ, অপপীঠের বাহুল্য অঙ্গবৈকুল্য এবং অবয়বহীনির সংস্পর্শ ঘটিয়াছে।’ ( এক্ষণে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি বিদ্বজনসংঘ হইতে মূল কৃত্তিবাসী রামায়ণের সংস্করণ প্রকাশ করিবার চেষ্টা হইতেছে )। কৃপানন্দ বাহুবলীন্দ্ৰ—তিনি মেদিনীপুর জেলার অন্তঃপাতী ময়নাগড় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোবৰ্দ্ধনানন্দ বাছবলীন্দ্র হইতে অধস্তন পঞ্চম ময়নাগড় রাজ। ময়নাগড়ের অধিপতি গোকুলানন্দ বাহুবলীন্দ্র পরলোক গমন করিলে, তিনি এই রাজ্য লাভ করেন । ১৭৪৪ খ্ৰীঃ অব্দে কাশীযেtড়ার রাজা নর নারায়ণ রায় কৃপানন্দকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া, তাছার রাজ্যের কিয়দংশ স্বীয় রাজ্যের অন্তভুক্ত করেন। কৃপানেেন্দর পর জগদানন্দ বাহুবলীন্দ্র ময়নাগড়ের রাজা হন । কৃপালারায়ণ রায় – তমলুকের রাজা । উক্ত রাজ্যের গঙ্গা বংশীয় রাজাদিগের আদি পুরুষ বিদ্যাধর রায় হইতে