পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভুক্তি হয় না। মনে প্রাণে তিনি খাটি ব্রাহ্ম ছিলেন এবং ব্রাহ্মসমাজের কল্যাণের জন্য অশেষ ত্যাগ স্বীকার ও কষ্ট সহ্য করিয়া গিয়াছেন। র্তাহার পরোপকা পৃহায় ধনী দরিদ্র ভেদ ছিল না । যে কোনও সম্প্রদায়ের লোক, কোন ও রূপ সাহায্য প্রার্থী হইয় তাহার নিকট উপস্থিত হইয়াছে, তিনি নিজের সর্বপ্রকার অসুবিধা তুচ্ছ করিয়া তাহার উপকার করিয়াছেন। একাধারে ধনীর বন্ধু এবং দরিদ্রের সকল প্রকার বিপদের >Q* বস্তুতঃ গত পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যে একাধারে এইরূপ বহু গুণ সম্পন্ন মনীষী বাঙ্গtলাদেশে আীর জন্মগ্রহণ করেন নাই বলিলেও সত্যের অপলাপ করা হয় না । তিনি লোক সমাজে নিজের প্রতিষ্ঠালাভের জন্য আদৌ ব্যগ্র ছিলেন না । সৰ্ব্বদাই সকলের পশ্চাতে থাকিয়া কাজ করিতে ভাল বাসিতেন । অথচ তিনি নিজে মুদীর্ঘ জীবনে যত মহৎ কাজ করিয়া গিয়াছেন, তাহার সামান্য অংশ সম্পন্ন করতে পারিলে অনেকে জীবন ধন্য মনে করিতে পারে। র্ত\ছাঁর জীবিত কালের মধ্যে এমন সহায়, এরূপ লোক বাস্তবিকই দুলভ। নারীজাতীর প্রতি র্তাহার অসীম শ্রদ্ধা ও করুণা ছিল। বাঙ্গলা দেশে নারীর প্রতি অত্যাচার বিস্তৃতি লাভ করিলে তিনি আর ও কয়েকটি মহানুভব ব্যক্তির সহায়তায় নারীরক্ষা সমিতি স্থাপন করেন এবং নিজের মুখ স্বাস্থ্য উপেক্ষা করিয়। ঐ সমিতির সাহায্যে নারীর প্রতি অত্যাচারের বিপুল আন্দোলন উপস্থিত করেন । তিনি প্রকৃতপক্ষে ঐ সমিতির প্রাণা স্বরূপ ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বদিনেও, একটি বিপন্ন নারীর সাহায্যের ব্যবস্থা করিতে ব্যাপৃত ছিলেন । তিনি যদি আর কিছুও না করিয়া যাইতেন, তাহ। হইলে কেবল এই কাৰ্য্যদ্বারাই দেশের লোকের শ্রদ্ধারপাত্র হইতে পারিতেন । কোনও সৎকাঃ দেশে ঘটতে পারে নাই, যাহার সহিত র্তাহার আন্তরিক যোগ না ছিল । ১৯৩৬ খ্ৰীঃ আন্দের ডিসেম্বর মাসে ( ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের পৌষ) মাত্র কয়েক ঘণ্টা গুরুতর পীড়ার আক্রমণে এই মহাপ্রাণ ব্যক্তি অমরলোকে গমন করেন । কৃষ্ণগুপ্ত–মালব রাজ্যের গুপ্তবংশীয় নরপতি । র্তাহার পুর্ববৰ্ত্তী নৃপতিগণের কোন বিবরণ এপর্য্যন্ত পাওয়া যায় নাই। সম্ভবতঃ তিনিই এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা । মালবের গুপ্তরাজ ংশের তালিকা— কৃষ্ণগুপ্ত— হর্ষগুপ্ত-- জীবিতগুপ্ত— কুমারগুপ্ত — लॉ८मांशद्भ७g - भश्tcमन७९४ - দেবগুপ্ত (ভ্রাতা )—আদিত্য সেন – দেবগুপ্ত—বিশ্বগুপ্ত ও জীবিতগুপ্ত।