পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণরায় কাৰ্য্য করিতেন । বগীর হাঙ্গামায় রাজা জয়নারায়ণ বাকী খাজনা দিতে অসমর্থ হইলে, বাঙ্গলার নবাব আলীবীর আদেশে ঢাকার শাসনকর্তা মোহাম্মদ রেজাকে ও পরে তাহার পরিবর্তে র্তাহার দেওয়ান কৃষ্ণরামকে বন্দী করেন। কিন্তু তাহার প্রভুভক্তি ও অন্য সদগুণাবলী দর্শনে নবাব এতই মুগ্ধ হইয়া ছিলেন যে, তাহীকে মুক্তি দিয়া তাহার প্রভুর জমিদারী প্রত্যপণ করিতে আদেশ দেন । রাজা জয়নারায়ণ তদীয় দেওয়ানের কার্য্যে সস্তুষ্ট হইয়া, তাহার পুত্রের নামে এক বৃহৎ জমিদারী প্রদান করেন । ইহা ভিন্ন কৃষ্ণরাম নবাব সরকার হইতে মজুমদার উপাধি প্রাপ্ত হন । তদবধি কীর্তিপাশার জমিদার ংশ মজুমদার বাড়ী নামে খ্যাত হইয়া আসিতেছে। কৃষ্ণরাম দ্যায়পরায়ণ ও দানশীল ছিলেন । অসাধারণ বুদ্ধি বলে বিপুল ভূসম্পত্তি, অর্থ ও যশের অধিকারী হন এবং বহু অর্থ সৎপাত্রে দান করেন । ১৭৫৯ খ্ৰীঃ অব্দে দেওয়ান কৃষ্ণরাম পরলোক গমন করেন । তাহার এক পুত্র রাজারাম ও এক কন্যা জয়মালা বর্তমান ছিল । কৃষ্ণরায়— তিনি বিজয়নগরের তুলব ংশীয় নরপতি । তিনি ১৫০৯-১৫২৯ খ্রীঃ অন্ধ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন । বলিতে গেলে তিনিই এই বংশের সব্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন । ঔtহার সময়েই বিজয়নগর জীবনী-কোষ شواهده রাজ্য সৰ্ব্বোচ্চ গৌরব লাভ করিয়াছিল। বাহমনি রাজ্যের ধ্বংসের পরে দক্ষিণাতো পাচট মুসলমান রাজ্যের উদ্ভব হয়। (১) বিজাপুরে আদিলশাহী, (২) আহাম্মদ নগরের নিজাম শাহী, (৩)বেরারের ইমাদ শাহী, (৪) গোলকুণ্ডার কুতুব শাহী ও (৫) বিদরের বারিদ শাহী । তন্মধ্যে বিজাপুরই সকলের শ্রেষ্ঠ ছিল । কৃষ্ণরায় এই বিজপুরের নবাবকে পর স্তি করিয়া, বিজাপুর নগর পর্য্যন্ত অধিকার করেন । বাহমনি রাজ্যের গুলবর্গ নগর ও একবীর অধিকার করিয়া তথাকার দুর্গ নষ্ট করেন । কৃষ্ণরায় যেমম সেই সময়ে একজন অসাধারণ বীর ছিলেন, তেমনই একজন বীরোচিত গুণসম্পন্ন ব্যক্তি ও ছিলেন । সেই সময়ে পরাজিত শত্রুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা অভ্যাসের মধ্যে দাড়াইয়া ছিল। কৃষ্ণরায় পরাজিত শত্রুর প্রতি কখনও নিষ্ঠুরাচরণ কৱিতেন না। তিনি বিদ্যোৎসাহী, দানশীল ও ধৰ্ম্মপরায়ণ ছিলেন । তাহার রাজ্যসীমা বৰ্ত্তমান মাদ্রাজ বিভাগের প্রায় সমস্ত ও মহীশূর প্রভৃতি দেশীয় রাজ্য র্তাহার রাজ্যান্তর্গত ছিল । কৃষ্ণরায়ের পরবর্তী বংশধরেরা যোগ্যব্যক্তি ছিলেন না । সদাশিব রায়ের সময়ে ১৫৬৫ খ্ৰীঃ অব্দে তালিকোটার যুদ্ধে এই রাজ্য একেবারে ধ্বংস প্রাপ্ত হয় । অনেগুন্দির বর্তমান রাজার পিজয়নগরের রাজাদেরই বংশধর ।