পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশবচন্দ্র শক্তি বলে কতিপয় ধৰ্ম্মপিপাসু ব্যক্তিকে র্তাহার অন্তরঙ্গ সহকৰ্ম্মীরূপে পাইয়া ছিলেন । তাহারা কেশবচন্দ্রের চিন্ত৷ ধারার সহিত সম্পূর্ণভাবে নিজদিগকে একীভূত করিয়াছিলেন । র্তাহাদের মধ্যে অনেকে পূৰ্ব্বে বৈষয়িক কৰ্ম্মে লিপ্ত থাকিয়া অর্থোপার্জন করিতেন । কিন্তু কেশবচন্দ্রের ব্যক্তিত্বের প্রভাব তাহাদিগকে এরূপ অভিভূত করে যে তাহারা সমুদয় বিষয় কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া ধৰ্ম্ম পথের যাত্রীরূপে র্তাহীর সহিত মিলিত হইলেন । র্তাহীদের মধ্যে অনেকে আজীবন কেশবচন্দ্রের একনিষ্ঠ সেবক ও অন্তরঙ্গ ধৰ্ম্মবন্ধু ছিলেন । র্তাহারা সৰ্ব্বপ্রকার বিলাস বাসনা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করিয়া কঠোর দারিদ্র্যব্রত গ্রহণ করেন । ংসারে থাকিয়া গভীর ধৰ্ম্মসাধন এবং তাহার সহিত কঠিন দারিদ্র্যের সহিত ংগ্রাম করিয়া তাহারা লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকিয় কেশবচন্দ্রকে বড় হইবার যে সাহায্য করেন, তাহ বাস্তবিকই অতুলনীয় । এই সকল নীরব কৰ্ম্মীদের নাম সংবাদপত্রের ঘোষণার দ্বারা লোক সমাজে প্রচারিত হইবার সুযোগ পায় নাই । কিন্তু ভারতের সৰ্ব্বপ্রকার উদার ধৰ্ম্ম আন্দোলনের ইতিহাস যদি কখনও নিরপেক্ষ লোক দ্বারা লিখিত হয় তবে এই সকল নীরব সাধকগণের ইতিবৃত্ত জীবনী-কোৰ रै8२. সেই ইতিহাসের পৃষ্ঠায় স্থান পাইবে । কেশবচন্দ্র এইসকল ধৰ্ম্ম বন্ধুগণের মধ্যে অনেককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ করিয়৷ তুলনা মূলক ধৰ্ম্ম আন্দোলনের প্রথম বিস্তৃত আয়োজন করেন। তাছাদের মধ্যে আচাৰ্য্য গিরিশচন্দ্র সেন ইসলাম ধৰ্ম্মশাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য, বৃদ্ধবয়সে লক্ষ্মেী গমন করিয়া আরবী শিক্ষা করেন এবং কুরাণ, হদিস প্রথম বাঙ্গালীয় অনুবাদ করেন। সাধু অঘোর নাথ গুপ্ত সংস্কৃত বৌদ্ধসাহিত্য হইতে বুদ্ধ শাক্য সিংহের জীবনচরিত ও বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের ইতিহাস সংকলন করেন । উপাধ্যায় গৌর গোবিন্দ রায় বেদান্ত ও গীতার চর্চায় মনোনিবেশ করেন । তৎরচিত গীতার সমন্বর ভাষা একখানি পাণ্ডিত্য পুর্ণ গ্রন্থ। ভাই প্রতাপচন্দ্র মজুমদার খ্ৰীষ্টয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র অধ্যয়ন ও অধ্যাপনের ভার প্রাপ্ত হন । ভাই মহেন্দ্রনাথ বসু, গুরুমুখী ভাৰ্য। শিক্ষা করিয়া শিখ ধৰ্ম্ম । শাস্ত্রের আলোচনায় প্রবৃত্ত হন । র্তাহার রচিত গ্রন্থ নানক প্রকাশ ; এতদ্ভিন্ন তাহার কৰ্ম্মীদের অনেকে অন্যান্ত ধৰ্ম্মশাস্ত্র আলোচনায় এবং তত্তত ধৰ্ম্মশাস্ত্র হইতে বাঙ্গালার সর্বসাধারণোপোযোগী গ্রন্থ রচনায় নিযুক্ত হন । কেশবচন্দ্ৰ বুঝিয়। ছিলেন যে পরস্পর ধৰ্ম্মশাস্ত্র পাঠ, তাহার সার গ্রহণ এবং বিভিন্ন ধৰ্ম্মশাস্ত্র হইতে উদার ও মহান তত্ত্ব সমূহ অবগত হইতে ন পারিলে, ধৰ্ম্ম বিষয়ে ভেদ বুদ্ধি ও