পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাজা মনসুর এই স্থানেই ১৪৯৯ খ্ৰীঃ অক্সে (হিঃ ৯৯৫) কার্য্যে ব্ৰতী হন এবং কঠিন কঠিন তিনি পরলোক গমন করেন। জোনপুরে এখনও এই বংশের অনেক কীৰ্ত্তি বর্তমান রহিয়াছে। খাজা মনসুর সিরাজী—অদ্যনাম শাহ মনসুর । তিনি দিল্লীর সম্রাট আকবরের একজন কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। পরে তিনি মন্ত্রী হইয়াছিলেন । অন্তান্ত সচীব কর্তৃক তিনি রাজকোষ হইতে টাক অপহরণের অভিযোগে অপরাধী হন । ১৫৮১ খ্ৰীঃ অব্দে বিচারে তিনি দুষী প্রমাণিত হইয়া নিহত হন। খাজা মোয়াজ্জম – তিনি হামিদবানু বেগমের ভ্রাতা । সম্রাট হুমায়ুনের ভগিনী ফাতেমা বেগমকে বিবাহ করেন । তিনি অতিশয় মন্দ স্বভাবের লোক ছিলেন । অন্তায় কার্য্যের জন্ত তিনি কয়েকবার রাজ্য হইতে বহিস্কৃত হইয়াছিলেন । কিন্তু পুনৰ্ব্বার ফিরিয়া আসিতেন । পরে আপন স্ত্রীকে বধ করিয়া সম্রাট আকবরের আদেশে ১৫৬৫ খ্ৰীঃ অব্দে নিহত হন । খাজমোহাম্মদ ইসা—তিনি জোনপুরের হজরত শেখ ইসা সাহেবের দ্বিতীয় পুত্র ; মোট বৎসর বয়ক্রমকালে তিনি দিল্লী হইতে পিতার সঙ্গে জৌনপুরে গমন করেন। পণ্ডিত খাজা কাজী শিহৰউদ-দিনের নিকট তিনি শিক্ষা প্রাপ্ত হন। চতুর্দশ বৎসর বয়সেই তিনি বিশেষ জ্ঞান লাভ কারয়। শিক্ষাদান জীবনী-কোষ \లిes বিষয়ে সন্ধুত্তর প্রদান করিয়া সকলকে চমৎকৃত করেন । র্তাহার পিতার মৃত্যুর পর, তিনি পিতার স্থান অধিকার করিয়া, ধৰ্ম্মগুরু হন এবং সেই সময় হইতে পার্থিব মান সন্ত্রম সকল বিষয়ে একেবারে নিলিপ্ত হইলেন । তিনি নির্জনেই বাস করিতেন কখনও কোন সময় কদাচিৎ বাহিরে আসিতেন । কিন্তু প্রতি শুক্রবারে নমাজ পড়িবার জন্ত বাহিরে আসিতেন । এই প্রকারে চল্লিশ বৎসর অতিবাহিত করেন । ধনী লোকদিগের তীtহার দর্শন লাভ অতি দুর্ঘট ছিল । কথিত আছে একদিন নিজ বাসস্থান কর্দম দ্বারা লেপিতে ছিলেন, এমন সময়ে সুলতান হুশেন শাহ শারকি তাঁহাকে অভিবাদন করিবার জন্ত তথায় উপস্থিত হইলেন । খাজা সাহেব তাহার সহিত করমর্দন করিবার জন্ত, হস্ত প্রক্ষালন করিতে উদ্যত হইলেন । কিন্তু মুলতান হুশেন নিবারণ করাধ, সেই কর্দম লিপ্ত হস্তেই তাহাকে অffলঙ্গন করিলেন । সুলতান সেই কর্দমাক্ত অঙ্গীভরণ, আতিশয় শ্রদ্ধার সহিত পরিধান করিতেন । একবার দিল্লীর সম্রাট বহলুল লোদী জৌনপুর আক্রমণ করিতে অভিলাষী হন । জৌনপুরপতি সুলতান হুশেন খাজ। সাহেবকে অবস্থ জ্ঞাপন করিলে, তিনি বলিলেন "শত্রু পরাজিত