\O86. দেশের অধিবাসী ছিলেন । ভারতে আসিয়া প্রথমে কিছুকাল তিনি দক্ষিণাত্যে বাস করেন। জৌনপুরের সুলতান আলী কুলী খাঁ পরে তাহাকে জৌনপুরে গমন করিতে সাদরে আহবান করেন । তিনি মুলতানের আহবানে জৌনপুরে গমন করিলে, সুলতান পুরবাসীর সহিত র্তাহাকে সাদরে গ্রহণ করিলেন । সুলতানের ভজনালয়ই তাহার শিক্ষাদান ও উপদেশের স্থান বলিয়া নির্দিষ্ট হইল । তিনি সুলতানের প্রশংসাসূচক ‘মথনবিনক্স-ই-বদি’ নামক একখান কবিতা গ্রন্থ লিখিয়া সুলতানকে উপহার দিলেন এবং পুরস্কার স্বরূপ প্রত্যেক কবিতার জন্য একটা করিয়া স্বর্ণ মুদ্র প্রাপ্ত হইলেন । সম্রাট আকবর, খ জামান খাঁর মৃত্যুর পরে মৌলানা গঙ্গালীকে জৌনপুর হইতে দিল্লীতে আমন্ত্রণ করিলেন । তিনি দিল্লীতে উপস্থিত হইলে, রাজেচিত সম্মানে পরিগৃহীত হইলেন । তাহার উপর ‘শাহনামা” গ্রন্থ কাব্যাকারে লিখিবার ভার অৰ্পিত হয় । কিন্তু গ্ৰন্থ রচনা সমাপন হইবার পূৰ্ব্বেই তিনি পরলোক গমন করেন । গজেশ্বর—স্বাধীন ত্রিপুরাধিপতি চন্দ্ররাজের (চন্দ্রফ) তনয় গজেশ্বর চন্দ্র হইতে অধস্তন ৮৭ তম এবং ত্রিপুর হইতে অধস্তন ৪২শ রাজা ছিলেন । ভারতীয়-এতিহাসিক গঞ্জালে তাঙ্কার মৃত্যুর পরে তাহার পুত্র বীররাজ ( দ্বিতীয় ) রাজপদ লাভ করেন । ত্রিপুর দেখ । গঞ্জালে সিবাষ্টিয়ান—(Gangales Sibestian) পর্তুগালের রাজধানী লিসবন নগরের অল্প দূরে সেন্টএন্টনিভেল নামক একটী ক্ষুদ্র গ্রামে গঞ্জালের জন্ম হয়। এই অজ্ঞাত কুলশীল পর্তুগালবাসী ১৬০৫ খ্ৰীঃ অব্দে এদেশে আসেন। এই উচ্চাভিলাষী ও শ্রমপটুযুবক প্রথমে সৈনিক বিভাগে কৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু ধন লোভের বশবৰ্ত্তী হইয়া উক্ত কৰ্ম্ম পরিত্যাগপূৰ্ব্বক লবণের ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হন । কিছু অর্থ সঞ্চিত হইলে তদ্বারা ‘পেলিয়’ নামক একটী জাহাজ ক্রয় করিয়া সন্দ্বীপ হইতে লবণ চট্টগ্রাম ও ডায়েঙ্গ বন্দরে প্রেরণ করিতে লাগিলেন । এই সময়ে আরাকানপতি মেংরাজগির ( শেলিম শা ) অধীনে অনেক পর্তুগিজ সৈনিক ছিল। তাহারা ক্রমে প্রবল হইতেছে সন্দেহ করিয়া ডায়েঙ্গ বন্দরন্থ প্রায় ছয়শত পর্তুগিজকে আরাকানরাজ হত্যা করেন । অবশিষ্টেরা পৰ্ব্বতে, অরণ্যে ও ৯|১০ দশখানা জাহাজে চড়িয়া সমুদ্রে পলায়ন করেন । তন্মধ্যে গঞ্জালেও তাহার জাহাঙ্গে ছিলেন। উপায়াস্তুর নদেখির তাহারা দমু্যবৃত্তি অবলম্বন করেন। তাহাঁদের অত্যাচারে বঙ্গের উপকুল ভাগ, সুন্দরবন প্রভৃতি জনশূন্ত অরণ্যে
