كوها রাজা মুখময় রায় পাথুরিয়াঘাট রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা । রাজা মুখময়ের বংশধর কুমার কাণীকৃষ্ণ রাজা বৈদ্যনাথের পুত্র । কালীকৃষ্ণের দুই পুত্র-দৌলতচন্দ্র ও নাগরনাথ । রাজ প্রতিনিধি লর্ড নর্থ ক্রক, প্রধান সেনাপতি লর্ড নেপিয়ার, লর্ড আ ক্ল্যাণ্ড, দ ড হার্ডিং, লর্ড এলগিন প্রভৃতি রাজপুরুষগণের নিকট ষ্ঠ}হার বিশেষ সন্মান ও প্রতিপত্তি ছিল ; রাজা কালীকৃষ্ণ দানশীল ও উদারচেত। পুরুষ ছিলেন । পাইক পাড়ায় তিনি একটী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ও চিৎপুরে একটি ই সিপাতালে এককালীন ২৫০০ টাকা ও মাসিক ১• • N টাকা দান করেন। কালীচন্দ্র রায় চৌধুরী, কবি – রঙ্গপুরের অন্তর্গত কুণ্ডীর সুপ্রসিদ্ধ জমিদারবংশীয় মনস্বী। র্তাহীদের যত্বেই মফঃস্বলে সৰ্ব্বপ্রথম মুদ্রাযন্ত্র স্থাপিত এবং ‘রঙ্গ পুর বাৰ্ত্তবহ প্রথম প্রকাশিত হয় । তাহারই পুরস্কার ঘোষণায় বাঙ্গুলার অদি নাটক ‘কুলীন-কুলসৰ্ব্বস্বে’র জন্ম হয় ৷ ‘ তাহীদের দ্বারাই রঙ্গপুরে জ্ঞানালোক প্রজ্জলিত হইয়াছে । তিনি 'স্বভাব দর্পণ’, ‘প্রেমারসাষ্ট্ৰক’ প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । কাণীচন্দ্রের মৃত্যুর পর ঐ পত্রিকাখনি কাকিনার বিদ্যোৎসাহী জমিদার শস্তুচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হইতে ভারতীয়-ঐতিহাসিক কালীচরণ থাকে। তখন উহার নাম পরিবর্তিত হইয়া ‘রঙ্গপুর দিকৃপ্রকাশ হয় । র্তাহীরই ঘোষণা অনুসারে পণ্ডিত রামনারায়ণ তর্করত্ন ‘পতিব্ৰতোপাখ্যান” নামক প্রবন্ধ রচনা করিয়া প্রথমে প্রতিশ্রুত পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার লাভ করেন। পুনরায় সেইরূপভাবে ‘কুলীন-কুল-সৰ্ব্বস্ব’ নাটক রচনার জন্যও পণ্ডিত তর্করত্ন পুরস্কৃত হন । কালীচরণ ঘোষ— প্রবাসী বাঙ্গালী বীর । কলিকাতা নিবাসী বাবু কালীচরণ ঘোষ অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের অধীনে সমর বিভাগে চাকুরী গ্রহণ করিয়া, উত্তর পশ্চিম প্রদেশে গমন করেন। প্রথম ভরতপুর যুদ্ধের সময়ে তিনি সৈন্স দলের রসদসহ যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন । দীর্ঘকাল সমর বিভাগে সেনাধ্যক্ষদিগের সংস্রবে থাকিয়া তিনি যুদ্ধকৌশলাদি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞানলাভ করিয়াছিলেন । পূৰ্ব্বোক্ত যুদ্ধকালে, ইংরেজ সেনাপতি শক্রপক্ষীয়দের অস্ত্রাঘাতে নিহত হইলে, অপেক্ষাকৃত নিম্নপদস্থ সেনাধ্যক্ষদের অমুরোধে তিনি নিহত সেনাপতির পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া সৈন্ত পরিচালনা করেন এবং সৌভাগ্য ক্রমে র্তাহার সৈন্ত পরিচালনার নৈপুণ্যে ইংরেজপক্ষ জয়লাভ করে । যুদ্ধান্তে, প্রথমে বিনা অনুমতিতে সৈন্তাধ্যক্ষের পরিচ্ছদ পরিধান করার অপরাধে সাম
