পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালীপ্রসন্ন বাবাজী’ এই ছদ্ম নামে 'বঙ্গীয় সমালোচক’ নামক একটি ব্যঙ্গ কবিতা প্রকাশ করেন। ঐ কবিতায় বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র প্রভৃতি সাহিত্যিকদিগকে অতি তীব্র আক্রমণ করেন । লর্ড লিটনের শাসনকালে (১৭৮৯ খ্ৰীঃ অব্দে) মুদ্রাযন্ত্র আইনের ফলে সোমপ্রকাশের প্রকাশ বন্ধ হয় । ঐ পত্রিকার শেষ সংখ্যায় বিনাদোষে রাজরেীষ’ নামক একটি কবিতা প্রকাশ হয় । ‘সভ্যত সোপান’ নামে এক প্রহসনে তিনি ইয়োরোপীয় হস্তে ভারতীয়দের নিগ্রহের এক চিত্র অঙ্কন করেন । উহ্য রচনার জন্ম র্তাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করার প্রস্তাব হইয়াছিল । 'নর্দোষের অপরাধ’ নামক অার একটি কবিতাও “সোম প্রকাশে প্রকাশ করেন । উহাতেও তাঁহার বিশেষ ক্ষমতা ও সাহসের পরিচয় পাওয়া যায় । ‘সোম প্রকাশ’ বন্ধ হইয়া যাইবার কিছুকাল পরে তিনি ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান শিক্ষণমন্দিরে (Indian Association for the Cultivation of Science) figsta fool of oil, মহারাণী স্বর্ণময়ীর অর্থানুকূল্যে কিছুকাল ‘প্রকৃতি’ নামে একখানি বিজ্ঞান পত্রিক প্রকাশ করেন । উহা পরে তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘কল্পলতা’ নামক পত্রিকার সহিত মিলিত হইয়। যায় । তিনি কিছুকাল জীবনী-কোষ ԳՆ ‘আর্য্য ঐন্দ্রজালি ক সমিতি’ নামক এক সভা স্থাপন করিয়া নানাস্থানে পাশ্চাত্য প্রণালীর ইন্দ্রজtল ক্রীড়া প্রদর্শন করেন । ঐ স্থত্রে সন্মোহন fa'òtCrs 9 (Mesmerism) उंशत्र বিশেষ পারদর্শিত লাভ ঘটে । ১৮৮৩ খ্রীঃ অব্দে আদালত অবমাননার অভিযোগে সুরেন্দ্রনাথের কারাদণ্ড হইলে, তিনি বিচারপতি নরিশের প্রতি তীব্র আক্রমণ করিয়৷ ‘ধৰ্ম্ম বিতারের কেচ্ছা’ নামে একখানি প্রহসন রচনা করেন । উহা সাধারণে প্রচারিত হয় নাই । রবীন্দ্রনাথের কোনও কোনও কবিতার ব্যঙ্গ সমলোচনা করিয়া "মিঠেকড়া’ নামে তিনি এ কথানি ক্ষুদ্র কবিতার বই প্রকাশ করেন । হিতবাদী সম্পাদনাকালে তিনি বিদ্যাপতির পদাবলীর এক সটীক সংস্করণ সঙ্কলন করেন। উহা বিশেষ জনপ্রিয় হইয়াছিল । কবিবর হেমচন্দ্রের যখন অর্থকষ্ট উপস্থিত হয়, তখন হেমচন্দ্রের কাব্যগ্রন্থ হিতবাদী কাৰ্য্যালয় হইতে প্রকাশ করিয়৷ বিক্রয়লব্ধ অর্থ কবিকে প্রদান করেন । প্রধানতঃ তাহারই আন্দোলনের ফলে রাজসরকার হইতে হেমচন্দ্র মাসিক পচিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন । হিতবাদীর সম্পাদনে গুরুতর পরিশ্রম নিবন্ধন,স্বাস্থ্যভঙ্গ হইলে তিনি