ফরকশিয়ার প্রেরণ করিলেন । ইহাই শেষ নহৈ শিখ গুরু বানদাকে এক সহস্ৰ অম্লচর সহ হস্তপদ শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া দিল্লীতে প্রেরণ করা হইল ! বন্দী বীৰগণ একে একে ঘাতক হস্তে জীবন বিসর্জন করিয়া বিধাতার অভিশাপ মুঘল সাম্রাজ্যের উপর আনয়ন করিল ; গুরু বান্দা স্বীয় পুত্রকে বধ করিতে আদিষ্ট হইলেন এবং অবশেষে অতি নিষ্ঠুর রূপে তাহাকে ও বধ করা হইল । এই ঘটনার পর বৎসরই মীর জুম্ন। বিহারের শাসন কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া দিল্লীতে উপস্থিত হইলেন । পাতশাহ তাহাকে সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয়ের ভয়ে তেমন অী গ্রহের সহিত গ্রহণ করিলেন না , পরস্তু তাহাকে লাহোরের শাসনকৰ্ত্তীর পদে নিযুক্ত করিয়া তথায় প্রেরণ করিলেন । এদিকে দক্ষিণাত্যের মহারাট্টার দিন দিন প্রবল হইতে প্রবলতর হইতে ছিল । হোশেন আলী খাঁ তাহাদিগকে কিছুতেই দমন করিতে পারিলেন না। অবশেষে মুঘলের গৌরব নাশক এক হীন সন্ধি করিতে বাধ্য হুইলেন । এই সন্ধির ফলে শিবাজীর অধিকৃত প্রদেশে র্তাহার। স্বাধীন হইলেন । সমস্ত দক্ষিণাত্য প্রদেশের চোথ ও স্বরদেশ মুখী (রাজস্বের চতুর্থাংশ ও দশমাংশ ) তাহার। প্রাপ্ত হইলেন । তৎপরিবর্বে তাহার। বার্ষিক দ৭লক্ষ মুদ্র ও পঞ্চদশ সহস্র সৈন্য প্রদান করিতে সন্মত হই জীবনী-কোষ S808 লেন । কিন্তু এই অকীৰ্ত্তিকর, সন্ধিতে সম্রাট সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয়ের শত্রু পক্ষের পরামশে সম্মতি দানে অস্বীকার করি - লেন । এদিকে যোধপুরের রাণ অজিৎ সিংহ সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয়ের প্রতিপত্তি পিনাশ করিতে সচেষ্ট হইয়। ব্যর্থ কাম হন । সৈয়দ সারদুল্লা খ এই সমস্ত ব্যাপার দেখিয়া সৈন্য সংগ্রহে প্রবৃত্ত হইলেন এবং স্বীয় ভ্রাতা হোশেন আলী খাকে অচিরে দিল্লীতে আগমন করিতে লিখিয়া পাঠাইলেন : হোশেন আলী খ। তদনুসারে দশ সহস্ৰ মহারাট্ট সৈন্ম সহ দিল্লীতে উপস্থিত হইলেন। অরক্ষিত রাজপুরি অতি অল্প আয়;সেই তাহদের হস্তগত সহল। তাহ দের কতিপয় অনুচর প্রাসাদের অভ্যস্তরে প্রবেশ করিয়া পাতশাহকে অনুসন্ধান করিতে লাগিল ; বহু অনুসন্ধানের পর তাহীকে ছাদের এক কোণে লুক্কায়ি ত অবস্থায় পাওয়া গেল । দুবৃত্তেরা তাহাকে নানা রূপে অবজ্ঞা ত করিয়া টানিয়া বাহির করল । তাহীর পার্থ ৰ্বিনী পুর মহিলাদের করুণ ক্রনদন রোলে চতুর্দিক মুখ র ত হইল । তাহার। অনুচরদের পদধারণ করিয়া বীর বার ক্ষম ভিক্ষা করিতে লাগিলেন । কিন্তু কিছুতেই দুবৃত্তিদের পাষাণ হৃদয় বিগলিত হইল না। র্তাহারা সম্রাট ফরকশিয়ারকে পুরমহিলাদের মধ্য হইতে বাহিরে আনয়ন করিল। তাহার
