Ֆ8ՏՊ মোহাম্মদ তোগণক সৈন্তদিগকে জায়গীর না দিয়া অর্থ প্রদান করিতেন। কিন্তু ফিরোজ শfছ, জায়গীর দিবার প্রথা পুন প্রচলন করেন । কোন সেনাপতির মৃত্যু হইলে, তৎপৰে তাহার পুত্র অথবা নিকট আত্মীয় নিযুক্ত হইতেন । তদভাবে তাহার গোলাম, যদি তাহীও না থাকিত তবে তাহার স্ত্রীকে উক্ত পদ প্রদান করা হইত । একটী দাতব্য বিভাগ স্থাপন করিয়ু। কন্তfদtয়গ্ৰস্ত অথবা অন্তবিধ অভাব গ্রস্তকে সাহায্য দান করা হইত । মুসলমান শাস্ত্রানুসারে কোন কোন অপরাধের জন্য নাসা কৰ্ণ ছেদন করিয়; দেওয়া হইত । তিনি এই প্রথা রহিত করেন। মুসলমান শাস্ত্র বিরুদ্ধ বলিয়া ! ১৪ প্রকার কর রচিত করিয়া দেন । হিন্দুদের উপর জিঞ্জিয় কর স্থাপন করেন । কিন্তু মুসলমান হইলে তাহাকে আর সেই কর দিতে ইষ্ট ত না । এই কর হইতে নিস্কৃতি পাই1ার জন্ত ও অনেকে মুসলমান হইয়াছিল । পুর লুষ্ঠিত দ্রব্যের চffর পঞ্চম অংশ রাজ কোষে জমা হইত। কিন্তু ইহা মুসলমান শাস্ত্রীমুমোদিত নহে বলিয়া, তিনি এক পঞ্চমাংশ রাজকোষে গ্রহণ করিয়া, চারি পঞ্চমাংশ লুণ্ঠনকারীকে প্রদান করিতেন। বলাবাহুল্য ইহাতে লুণ্ঠনের প্রশ্রয় দেওয়া হইত। তিনি রাজ্যের
- {ाँनीं श्tcन
ভারতীয়-ঐতিহাসিক ফিরোজ শাহ চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়া, তাহার ব্যয় নিৰ্বাঙ্গার্থ প্রচুর ভূমি দান করিয়াছিলেন । এই সকল চিকিৎসালয় হইতে রোগীরা ঔষধ ও পথ্য বিনা মূল্যে পাইত এই প্রজাহিতৈষী নরপতি প্রজাদের মঙ্গলের জন্ত রাজ্যের নানা স্থানে সরাই বিদ্যালয়, মসজিদ, সেতু, স্নানাগার, উস্তান, কুপ, বাধ, সরোবর ও পয় প্রণালী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । ফিরোজ শাহ কর্তৃক অনুষ্ঠিত পূৰ্বকাৰ্য্যের ভগ্নাবশেষ এখনও নান। স্থানে দৃষ্ট হইয়। থাকে যমুন যে স্থানে পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ অ{ তক্রম করিয়া সম ভল ক্ষেত্রে অবতরণ করিয়াছে, সেই স্থান হইতে আীরস্থ করিয়া করেন:লের মধ্যfদয়। হানসা ও হিসার জিলা পর্যন্ত, বিস্তৃত সুদীর্ঘ পথ প্রণালী ( থাল ) তাহার আর এক কান্তি । শতদ্রু ও ঘর্ঘরা নদীর স{হত ও চহ:র সংযোগ ছিল । ফলতঃ ইহার দ্বারা বহু স্থান শস্ত গু্যামল হইয়। ছিল । সঙ্গে সঙ্গে রাজস্বেরও আৰু বৗদ্ধত হইয়াছিল । ঠাহীর ঐকান্তিক যত্নে দেশ সমৃদ্ধিশালী হইয়াছিল। তাছার মুদীর্ঘ ত্রিশ বৎসর ব্যাপী রাজত্ব ক’লে দেশে একবারও জুর্ভিক্ষ হয় নাই । প্রজাপুঞ্জ পরম সুখে বfস কfরত । দেশের সববএই জীবন ধারণের উপযোগী সামগ্ৰীসমূহের প্রাচুর্ষ্য ছিল, মুতরাং খুব সুলভ ও fছল । তিনি তাহার কৰ্ম্মনুনাধিক একশ৩টা | চারদিগকে প্রচুর বেতন দিতেন ।
