ब्रशिभ বৎসর পরে তিনি যখন নয় মাসকাল ছুটীতে ছিলেন, তাহার মধ্যে ক্রমে যুগলাঙ্গুরীয়, লোক রহস্ত, বিজ্ঞান রহস্ত চন্দ্রশেখর, রাধীরাণী ও কমলাকাস্তের দপ্তর মুদ্রিত হয় । ইহার পর বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ‘রাজনী’ উপন্যাস প্রকাশিত হইতে আরম্ভ করে। (১৮৮১ —৮২ বঙ্গাবা । ) তাহার পর যথাক্রমে রাধীরাণী ও কৃষ্ণকান্তের উইল বঙ্গদর্শনেই প্রথমে ধারাবাহি কভাবে প্রকাশিত হইয়। পরে পৃথক পুস্তকাকারে মুদ্রিত হয় । এই সময়ে ( ১৮৭৭–১৮৭৯ খ্ৰী: ) তিনি চুচুড়ায় অবস্থান করিতেছিলেন । উক্ত উপন্যাস গুলি ভিন্ন তাঁহার ‘কবিতা পুস্তক’ ও
- প্রবন্ধ পুস্তক’ও এই সময়ের মধ্যে প্রকাশিত হইয় ছিল । ১৮৮২ খ্রী: আবেদ রাজসিংহ’ ও ‘আনন্দমঠ’ প্রকাশিত হয় । দেবীচৌধুরাণী প্রথমে বঙ্গদর্শনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হুইতেছিল। বঙ্গদর্শন বন্ধ হইয়। যাইবার ফলে উহা সম্পূর্ণ প্রকাশিত হইতে পারে নাই। তাহার শেষ উপন্যাস সীতারাম
তাহারই জামা তা রাখালচন্দ্র বন্দ্যে - পাধ্যায় পরিচালিত ‘প্রচার’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হইতে থাকে। পরে ১৮৮৪ খ্ৰীঃ অব্দে উহা পৃথকভাবে মুদ্রিত হয় । ‘এই সকল উপন্যাসের মধ্যে বিষবৃক্ষ, ইন্দির, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, জীবনী-কোষ 〉?b* श्रtनन गठे সম্পূর্ণভাবে বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হইয়। পরে পুস্তক কারে প্রকাশিত হইয়াছিল’ । বঙ্গদর্শন ১৮৬৯ হইতে ১৮৭৪ খ্ৰীঃ অব্দ পর্য্যস্ত বঙ্কিমচন্দ্র বহরমপুরে ছিলেন, সেই সময় মধ্যে দীনবন্ধু মিত্র, রামগতি ন্যায়রত্ন, লালবিহারী দে, ঐতিহাসিক রামদাস সেন, জননায়ক বৈকুণ্ঠনাথ সেন, মনস্বী ভূদেব মুখোপাধ্যায়, লোহারাম শিরো রত্ন, গঙ্গাচরণ সরকার ও তৎপুত্র অক্ষয় চন্দ্র সরকার, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি প্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণ বহরমপুরে ছিলেন । এতগুলি সাহিত্যরসিক ব্যক্তির সমাবেশে সাহিত্য চর্চার যে একটি বৃহৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হইবে, তাহ। সহজেই অনুমেয় ৷ ইহঁদের সহিত পঙ্কিমচন্দ্র ও পরে রমেশচন্দ্র দত্ত মিলিত হওয়াতে মণিকাঞ্চন সংযোগ হইল । এই বহরমপুরে থাকতেই ১৮৭২ খ্ৰীঃ অব্দের এপ্রিল ( ১২৭৯ বঙ্গাব্দ বৈশাখ) মাস হইতে বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্গদর্শন প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন । কলিকাতার উপকণ্ঠে ভপানীপুরের পিপুল-পটি লেনে অবস্থিত এক সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের भूछायtळ डेशं★ 2थम भूण* श्छ । °ब्र বৎসর বৈশাখ মাস হইতে বঙ্কিমচন্দ্র কাঠাল পাড়ায় বঙ্গদর্শন মুদিত করিবার জন্য মুদ্রাযন্ত্র স্থাপন করেন এবং সেই রাধীরাণী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল ও খান হইতেই বঙ্গদর্শন মুদ্রিত হইয়া
