পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল গঙ্গাধর আলোচনায় র্তাহার অভিজ্ঞতা- প্রস্থত ব্যবস্থা অমুকাজ করা, কিছুরই আবগুকই বোধ করিলেন না । এদিকে জন সাধারণের বিদ্বেষ ও ক্রমাগত বাড়িয়। চলিল । অবশেষে ১৮৯৭ খ্ৰীঃ অব্দের জুন মাসে দামোদর চাপে কর নামক এক ব্যক্তির হস্তে একজন উচ্চপদস্থ ইংরেজ কৰ্ম্মচারী নিহত হইলেন । প্লেগ নিবারণ কল্পে যে সরকারী ব্যবস্থা প্রণীত হইয়াছিল, তিনি সেই সকল ব্যবস্থা কাৰ্য্যে পরিণত করার একজন ভারপ্রাপ্ত পদস্থ কৰ্ম্মচারী ছিলেন । সেই সঙ্গে একজন সৈনিক বিভাগের পদস্থ কৰ্ম্মচারীও দামোদরের সহকৰ্ম্মীর হস্তে নিহত হইলেন । এই ঘটনায় ভারতের সর্বত্র এবং ইংলণ্ডে ও ইংরেজদের মধ্যে যে গভীর উত্তেজনার উদ্ভব হইল, তাহ বলাই বাহুল্য । তাহার। সকলেই একবাক্যে তিলককেই ইহার জন্য দায়ী করিতে লাগিলেন। বোম্বাই র তৎকালীন শাসনকৰ্ত্ত লর্ড স্যাওহtষ্ট ( Send Hurst) অবশু এই হত্য। ব্যাপারের সঙ্গে তিলকের কোনও যোগ ছিল তাহ। মনে করেন নাই, কিন্তু তিনিও প্রবাসী ইংরেজদের ও র্তাহীদের দ্বারা প্রভাবান্বিত ইংলণ্ডের সংবাদ পত্র সমূহের আন্দোলন উপেক্ষা করিতে পারিলেন জীবনী-কোষ ১৬১৩ কর্ণপাত করা অথবা না ! সেই বৎসর ২৭শে জুলাই বোম্বাই নগরে তাহাকে গ্রেপ্তার করা হইল । তিনি সেই সময়ে বোম্বাইতে যাইয়া, কয়েকটি ইংরেজ পরিচালিত সংবাদপত্রে তাহার বিরুদ্ধে যে বিষ উদগীরণ করা হইতেছিল, সে বিষয়ে কৰ্ত্তব্য নিৰ্দ্ধারণের জন্ত আইনজ্ঞদের উপদেশ গ্রহণ করিয়াছিলেন । তিলকের গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে কেশরীর মুদ্রাকরকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং ‘পুনাবৈভব’, ‘মোদৰুত্ত’, ‘প্রতোদ’ ‘জ্ঞান প্রকাশ’ ও ‘সুধাকর’ নামক কয়েকটি দেশীয় সংবাদপত্রের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনয়ন করা হয় এবং কয়েকজন ব্যক্তিকে নিৰ্ব্বাসিত করা হয় । সপ্তাহ খানেক পরে তিলককে প্রথমে জামীনে মুক্তি দেওয়া হয়, পরে ৮ই আগষ্ট বোম্বাই হাইকোর্টে বিশেষ জুরীর সাহায্যে র্তাহার বিচার আরম্ভ হইল। জুরীগণের মধ্যে ছয়জনই ইংরেজ এবং তাঁহাদের মধ্যে কেহই মারাঠী ভাষা জানিতেন না । কেশরী পত্রিকাতে প্রকাশিত দুইটি প্রবন্ধই র্তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তি ছিল। তাহাদের মধ্যে একটিতে তিনি শিবাজী কর্তৃক আফজল খাঁর হত্যা সমর্থন করেন। তাহার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সমগ্র ভারতবর্ষে বিশেষ উত্তেজনা ও আন্দোলনের স্বাক্ট হয়। দেশীয়