পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৫৫ তিনি র্তাহার প্রত্যেকখানি পূর্বেই গঙ্গাজলে ধৌত করিয়া রাখিতেন। এইজন্ত স্থানীয় লোকের তাহাকে লাকড়ী ধোয় গোসাই বলিত। ভক্তি গ্রন্থ পাঠে তাহার একান্ত অনুরাগ ছিল । শ্ৰীমদভাগবত পাঠ করিতে করিতে তিনি তন্ময় হইয়া যাইতেন । তিনি সৰ্ব্বদাই গলদেশে শালগ্রামশীলা ধারণ করিয়া থাকিতেন। শাস্তিপুর হইতে দণ্ডী দিয়া তিনি জগন্নাথ দর্শনে পুরী গমন করিয়াছিলেন । বিজয়কৃষ্ণের মাতাও স্বামীর স্থায় নানা সদগুণে ভূষিতা ছিলেন। জাতি নিৰ্ব্বিশেষে দীন দুঃখীর অভাব মোচনে তিনি সৰ্ব্বদাই উদগ্রীব থাকিতেন। প্রত্যহ অন্ততঃ চার পাচজন পরিবারবহিভূত ব্যক্তিকে অtহার করাইতে ন! পারলে তাহার তৃপ্তি হইত না । দানে তিনি এরূপ মুক্তহস্ত ছিলেন যে, কাহারও দুঃখ দেখিলে নিজের অভাব ভুলিয়া শেষ কপর্দক পৰ্য্যন্তও দান করিতে দ্বিধা বোধ করিতেন না । ছয় মাস বয়সেই বিজয়কৃষ্ণের অক্সারস্ত ও নামকরণ হয় । আনন্দ কিশোরের অগ্রজ গোপীমাধব মৃত্যুকালে অমুজকে অনুরোধ করিয়া যান যে, তিনি যেন তাহার একটী পুত্রকে বিধবা ভ্রাতৃজায়াকে দত্তক প্রদান করেন তদনুসারে তাহার জ্যেষ্ঠ পিতৃব্য হস্তে বিজয়কৃষ্ণকে দত্তক প্রদান ভারতীয়-ঐতিহাসিক বিজয়কৃষ্ণ করা হয় । বিজয়কৃষ্ণের এক অগ্রজ ছিলেন । র্তাহীর নাম ব্ৰজগোপাল । কয়েক বৎসরের মধ্যে আনন্দকৃষ্ণ ও তাহার বিধবা ভ্রাতৃজায় উভয়েই মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ায় বিধবা গর্ভধারিণীর উপরই তাহার লালন পালনের তার পুন মুস্ত হইল । শৈশবে শাস্তিপুরের পাঠশালাতেই তাহার শিক্ষারম্ভ হয় । কিন্তু তাহার মাভা কখনও শান্তিপুরে কখনও বা পিত্রালয়ে থাকিতেন বলিয়। বিজয়কৃষ্ণের শিক্ষার বিশেষ ব্যাঘাত হইত । তিনি শৈশবাবধি আতিশয় চঞ্চল স্বভাব ও একগুঁয়ে ছিলেন । কিন্তু ৰtল-সুলভ চপলতার সহিত কোনওরূপ কপটতা বা অসদ বুদ্ধি ছিল না। মাতার পরদুঃখ কাতরতা শৈশবেই বিজয়কৃষ্ণের চরিত্রে পরিলক্ষিত হইত। পাঠশালার শিক্ষা সমাপন করিয়া তিনি শান্তিপুরের গোবিন্দ গোস্বামীর টোলে প্রবেশ করেন । মেধাবী ও অধ্যয়নশীল ছাত্ররূপে তিনি গুরু মহাশয়ের বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিলেন । 聊 কৌলিক প্রথানুসারে বাল্যাবস্থাতেই র্তাহার উপনয়ন ও দীক্ষা হয়। প্রচলিত ধৰ্ম্মে তাহার নিষ্ঠ ও গভীর বিশ্বাস ছল। প্রতিদিন গভীর নিষ্ঠা ও ভক্তির সহিত পূজা-অৰ্চনাদি করিতেন । অষ্টাদশ বৎসর বয়সে টোলের পাঠ ত্যাগ করিয়া তিনি কলিকাতায়