পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়চন্দ্র জাবনী-কোষ ১৬৬৬ ৭• খ্ৰীঃ অন্ধ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। শত মুমু রোগী প্রাণ ফিরিয়া পাইয়াতাহার পুত্র প্রসিদ্ধ জয়চন্দ্র শাহাবুদিন ছেন। নূতন চিকিৎসা প্রণালীর অথবা ঘোরীকে ভারত বিজয়ের জন্ত আহবান নুতন হোমিওপ্যার্থী ঔষধ আবিষ্কার করিয়াছিলেন । বিজয় চন্দ্র সিংহ– কলিকাতার প্রসিদ্ধ পরহিতব্ৰতী বিদ্যোৎসাহী ভূম্যধিকারী । তিনি মহাভারতের অনুবাদক মনস্বী কালীপ্রসন্ন সিংহের পোষ্য পুত্র ছিলেন। লক্ষ্মীর বরপুত্র হইয়াও তিনি আজীবন সরস্বতীর সেবায়ু ও পরের কল্যাণ সাধনে যত্নবান ছিলেন । হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় তাহার আন্তরিক অনুরাগ ছিল । নিজে বহু মূল্যবান পুস্তকাদি পাঠ করিয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসীয় যে গভীর জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন, তাহা খুব কম লোকই জানিবার সুযোগ পাইয়াছেন। কেন না তিনি কখনও নাম কিনিবার জন্য ব্যস্ত হন নাই । নিজের গভীর চিন্তা, অধ্যয়ন ও গবেষণার দ্বারা তিনি বহু প্রচলিত অথচ অতি দুরারোগ্য রোগের যে চিকিৎসা প্রণালী উদ্ভাবন করেন, তাহা বস্তুতই বিস্ময়কর। উক্ত চিকিৎসা-শাস্ত্রবিদ একাধিক বিশেষজ্ঞ বলিতেন, বিজয় বাবুর সাধন প্রভাবে হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান সমৃদ্ধ হইয়াছে। তিনি ঔষধ দিয়া ম্যাজিক দেখাইতেন। বহুমূত্র রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ ইনসুলিনের তিনি যে হোমিওপ্যার্থী সংস্করণ আবিষ্কার করেন তদ্বারা শত করিবার জন্য তিনি নিজের শরীরে ঔষধ প্রয়োগ করিয়া পরীক্ষা করিতেন। অনেক খ্যাতনামা প্রবীণ চিকিৎসক ও দুরারোগ্য রোগী চিকিৎসা করিবার সময়ে, বিজয় বাবুর পরামর্শ গ্রহণ করিতে কুষ্ঠিত হইতেন না । এই চিকিৎসা করিয়া তিনি কখনও মর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন নাই । অনেক অনুরোধ করিয়া সম্রাস্ত ধনী ব্যক্তিরাও চিকিৎসিত হইয়া তাহীকে অর্থ লওয়াইতে পারেন নাই । তাহার বাড়ীতে সমাগত রোগীদের ঔষধ বিতরণ করিবার জন্য দুইজন সহকারী নিযুক্ত থাকিতেন । আয়ুৰ্ব্বেদোক্ত বহুবিধ ভেষজকে বহু গবেষণায় তিনি হোমিওপ্যাথি ঔষধে পরিণত করেন । র্তাহার অাবিস্কৃত ঔষধ সমূহ পরীক্ষার জন্য তিনি সৰ্ব্বদা শরীর পবিত্র ও মন প্রফুল্ল রাখিতেন । কোনওরূপ মাদক দ্রব্য কখনও সেবন করেন নাই। হোমিওপ্যাথি ভিন্ন অপর কোনও প্রকার ঔষধ কখনও সেবন করেন নাই । টীকা বা ইনজেকশন লন নাই । হোমিওপ্যাথি ঔষধ তাহার শরীরে মন্ত্রশক্তির ন্তায় কাজ করিত । ভারতে তিনিই প্রথম উচ্চ ডাইলিউশনে’র