2) ۹وانه করিলেন । এই সঙ্কটকালে বিজয়সিংহ গরধন নামক এক রাজপুতের সাহায্য প্রার্থনা করিলেন । বলিতে গেলে তাহারই বুদ্ধি কৌশলে সর্দারদের সহিত রাণ বিজয় সিংহের মনোমালিন্য সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হইল। কিন্তু যে কয়ুটী সৰ্ত্তে এই মিলন হইল, তাহার মধ্যে একটা সৰ্ব ছিল যে পাট্রাবহিগুলি সর্দারদের হস্তে সমর্পণ করিতে হইবে। ইহাদ্বারা রাজার স্বীয় প্রাধান্য ক্ষুণ্ণ হইল । সেইজন্য তিনি মনে মনে অতিশয় জাতক্রোধ হইলেন । ইছার প্রতিশোধ লইবার জন্য, তিনি কৃতসঙ্কল্প হইলেন । ইতিমধ্যে র্তাহার গুরু আত্মারাম পীড়িত হইয়া পরলোক গমন করিলেন । রাণী গুরুর শোকে অতিশয় মৰ্ম্মাহত হইয়াছেন এই ভাব প্রকাশ করিলেন। গুরুর দেহ দুর্গের অভ্যস্তরেই সৎকার করা হইবে বলিয়। প্রকাশ করিলেন এবং সমস্ত সর্দারদেরে তাহাতে যোগদান করিতে আদেশ প্রদান করিলেন । ইহার মধ্যে যে মন্দ অভিপ্রায় থাকিতে পারে ইহা কেহ কল্পনাও করে নাই । সর্দারের গুরুর সৎকার উৎসবে দুর্গে প্রবেশ করিলে, অতি জঘন্ত বিশ্বাস ঘাতকতা করিয়া র্তাহীদের অনেককে বধ করা হইল । কত্তক পলায়নপূর্বক প্রাণ রক্ষা করিল। রাণার পিতৃব্য দেবীসিংহ আত্মহত্য করিলেন । ভারতীয়-ঐতিহাসিক বিজয়সিংহ এই সময়ে দক্ষিণ ভারতে মহারাঠা জাতি প্রবল ছিল। র্তাহার রাজপুতের শক্তি বৃদ্ধিতে বিচলিত হইলেন । মাধাজী সিন্ধির রাজপুতদের গৰ্ব্ব থৰ্ব্ব করিবার জন্য অভিযান করিলেন । প্রথমেই মহারাঠা সেনাপতি যোধপুর আক্রমণ করিলেন । রাজপুত জাতির গৌরব রক্ষার্থ, জয়পুরের অধিপতি প্রতাপ সিংহ, যোধপুরপতি বিজয় সিংহের সহিত মিলিত হইলেন । টঙ্গা নামক স্থানে ভীষণ যুদ্ধে মহারাঠারা পরাস্ত হইয়া পলায়ন করিল। ইহার তিন বৎসর পরে সিন্ধিয়া বল সঞ্চয় করিয়া আবার ষোধপুর অtফ্ৰমণ করিলেন । এই সময়ে অম্বরপতি প্রতাপ সিংহ, বিজয়সিংহের সঙ্গে যোগ দিলেন না। অধিকন্তু এক গৃহ শক্ৰ দেখা দিল । সেই মন্দমতি বাহাদুর সিংহ বিজয় সিংহেরই একজন সর্দার । এই সব কারণে পত্তনের যুদ্ধক্ষেত্রে পিজয় সিংহের পরাজয় হইল। সিন্ধিয়া রাজ জয়লাভ করিয়া আজমীড় অধিকার কfরতে সৈন্ত প্রেরণ করিলেন । অfজমীঢ় রক্ষা করা সম্ভবপর নহে মনে করিয়া, বিজয়সিংহ দুর্গাধ্যক্ষ দমরাজকে দুর্গ সমর্পণ করিতে লিখিলেন, তেজস্বী রাটোর বীর পরাজয়ের অপমান সন্থ করিতে কিছুতেই প্রস্তুত ছিলেন না। রাজার অfদেশ অমান্ত করা ও সম্ভবপর নহে, সেইজন্য তিনি আত্মহত্যা করিয়া
