বিপিনচন্দ্র ইরেজ পাদ্রীদের পরিচালিত ছিল; উহাদের একটিতে বিপিনচন্দ্র প্রবেশ করেন । কিছুকাল পরে স্থানীয় হিন্দুরা পাদ্রীদের কোনও কোনও ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হইয়া নিজেরাই একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন । একবার বিপিনচন্দ্র বtলসুলভ চপলতা বশতঃ এক মুসলমানের তৈরী লেমলেড খাইয়াছিলেন । তাহার পিতা ইহা জানিতে পারিয়া প্রথমে তাহকে বিশেষ নিগ্রহ করেন এবং ইংরেজি শিক্ষার ফলে পুত্র এইরূপ স্ব-ধৰ্ম্ম-বিরোধী কাজ করিতে শিখিতেছে মনে করিয়া তাহকে স্কুল হইতে ছাড়াইয়া লইলেন । প্রায় ছয় মাস পরে পত্নীর পরামর্শে পুনরায় পুত্রকে হিন্দুদের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি করাইয়া দিলেন । এই বিদ্যালয় হইতেই ১৮৭৪ খ্ৰীঃ আবেদ প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া উচ্চতর শিক্ষার জন্ত তিনি কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হন । কলিকাতায় তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে তিন বৎসর অধ্যয়ন করিয়া ছাত্র জীবন শেষ করেন । কলিকাতার ছাত্র জীবনের মধ্যেই বিপিনচন্দ্র ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত আরম্ভ করেন । কলিকাতার প্রখ্যাত নাম ধাত্রী বিদ্যা বিশারদ ডাঃ সুন্দরী মোহন দাস মহাশয় বিপিনচন্দ্রের এক জিলা বাসী ছিলেন । সুন্দরী মোহনের ংস্পর্শে আসিয়৷ শ্ৰীহট্টে থাকিতেই জীবনী-কোষ »ማU8 (১৮৬৬–৭০ খ্ৰীঃ আন্ধের মধ্যে) তিনি ব্ৰহ্ম সমাজের সহিত পরিচিত হইয়াছিলেন। কলিকাতায় আসিয়া তিনি কেশবচন্দ্রের অনন্ত সাধারণ প্রভাব জীবনে অনুভব করেন এবং ক্রমে ক্রমে বিশেষ ভাবে ব্রাহ্মসমাজের প্রতি আকৃষ্ট হুইয়া পড়েন। সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের অন্ততম আচাৰ্য্য পণ্ডিত শিলনাথ শাস্ত্রীর সহিতও তাহার বিশেষ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা স্থাপিত হয় । বিপিনচন্দ্র ক্রমে শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়ের বিশেষ মেহের পাত্র হন । তাহার জীবনে শাস্ত্রীমহাশয়ের প্রভাব বিস্তৃত ভাবেই পড়িয়াছিল। ১৮৭৭ সালে তিনি শাস্ত্রীমহাশয়ের বিশিষ্ট সাধক দলে দীক্ষিত হন । এই সময়ে তাহীদের দীক্ষার একটী বিশেষ ঘটনা বিপিনচন্দ্র এই ভাবে বিবৃতি করিয়াছেন । ‘डथन 8 डिनेि (*ांशोभशाँ*१) cश्ब्रांद्र স্কুলে কাজ করিতেন এবং স্কুলের দেী তলার একটা ঘরে রাত্রিকালে তাহার শেfবার ব্যবস্থাও ছিল । এই খানেই আমাদের নূতন দীক্ষা হয়। নিরাকার ব্রহ্মোপাসক হইলেও শাস্ত্রীমহাশয় কবি মানুষ একেবারে বাহ ক্রিয় কলাপের প্রতি বীতরাগ হন নাই। সুতরাং আমাদের এই দীক্ষাতে কতকটা প্রাচীন হিন্দু যজ্ঞের অনুকরণ করিয়াছিলেন। একটা গীমলাতে আগুন জালিয়। কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা,
