১৭৩৩ করেন । বিচারে তাহার এক মাস বিনাশ্রমে কারাদণ্ড হয় । দও ভোগান্তে তিনি বাঙ্গালীয় প্রত্যা বৰ্ত্তন করেন এবং “দি হিন্দু fifes” (The Hindu Review) নামে একটি উচ্চ শ্রেণীর মাসিক পত্রিক প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন । র্তাহার সম্পাদনার কৃতীত্বে অল্প কাল মধ্যেই উহা শিক্ষিত জনসাধারণের মধ্যে বিশেষ আদর লাভ করে । কিন্তু উহাও বেশী দিন চলে নাই। এই সময়ে চিত্তরঞ্জন দাস সম্পাদ ত “নারায়ণ”, “বিজয়া” ব্ৰহ্ম 1ান্ধব উপাধ্যায়ের “সন্ধ্য।” প্রভৃতি পত্রিকাতেও তাহার বহু সারগর্ভ রচনা প্রকাশিত হইতে থাকে । ১৯২৪ খ্রীঃ আন্দে তিনি কলিকাতা বাসীর প্রতিনিধি স্বরূপ বড়লাটের অtহন পরিষদের সভ্য হন। সেখানে ও তিনি র্তাহার বাগীত ও সূক্ষ্ম যুক্তি প্রয়োগ-পারদর্শিতার বলে অনন্ত সাধা রণ সাফল্য লাভ করেন । ১৯০৬ খ্ৰীঃ অব্দে দাদাভাই নেীরজীর ভাপতিত্বে কলিকাতা নগরে জাতীয় মহাসমিতির যে অধিবেশন হয়, তাহাতে তিনি, লোকমান্ত তিলক প্রভৃতির সহিত মিলিত হইয়া, ইংলণ্ড জাত সমুদয় দ্রব্যের ব্যবহার বর্জনের আন্দোলন যাহাতে কংগ্রেসের অন্ততম কাৰ্য্য স্বচীরূপে গৃহীত হয় তাহার জন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করেন। উtহীদের চেষ্টা অবগু ভারতীয়-ঐতিহাসিক বিপিনচন্দ্র অtশানুরূপ ফলপ্রস্থ হয় নাই । কিন্তু র্তাহারা আন্দোলন চালাইতে বিরত হয় নাই ( বাল গঙ্গাধর তিলক দ্রষ্টব্য )। ১৯১৬ খ্ৰীঃ অব্দে, প্রায় দশ বৎসর পরে তিনি পুনরায় লক্ষ্ণে নগরে অনুষ্ঠিত জাতীয় মহাসমিতির অধিবেশনে উপস্থিত হন । তখন হইতে লোকমান্ত তিলকের স্বায়ত্ব শাসন সজেঘর (Home Rule League) fsf: a-se: ff: কৰ্ম্মী হন এবং উক্ত সঙ্ঘের কাৰ্য্যে ভারতের নানাস্থানে পৰ্য্যটন করেন । ১৯১৪—১৮খ্ৰীঃ মদের মহাযুদ্ধের সময়ে সরকারী আদেশে লোকমান্য তিলক ও তাহার পঞ্জাব ও দিল্লী প্রদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয় (১৯১৭ খ্ৰীঃ) । দুই বৎসর পরে তিলকের সহকৰ্ম্মীরূপে তিনি ইংলণ্ডে গমন করেন এবং বিঠলভাই প্যাটেল, রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার, সৈয়দ হাসান ইমাম প্রভৃতির সঙ্গে মিলিত হইয়া ইংলণ্ডে ভারতের রাজনীতিক দাবী উপস্থিত করিবার জন্য বিশেষ পরিশ্রম করেন । ১৯২০ খ্ৰীঃ অব্দে লাল। লাজপত্ত রায়ের নেতৃত্বে কলিকাতায় জাতীয় মহাসমিতির যে বিশেষ অধিবেশন হয়, তাহাতে তিনি ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস মহাত্মা গান্ধীর প্রবৰ্ত্তিত "অ-সহযোগ Rifs”ā (Non-Co-operation ) $3 প্রতিবাদ করেন। ঐ অধিবেশনে উপস্থাপিত মহাত্মা গান্ধীর মূল প্রস্তাবটির তিনি একটি সংশোধম প্রস্তাব আনয়ন
