বিশ্বনাথ অন্ত সকল ভারতীয় শাসনকৰ্ত্ত হইতে উচ্চে আসন প্রদান করিয়াছে। মহীশূর রাজ্যের উন্নতির জন্য মিঃ মাধব রাও যে সমস্ত আইন প্রণয়ন করিয়া গিয়ছেন তাহাতে র্তীস্থার নাম চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে । মহীশূরের দেওয়ানী কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়া মিঃ মাধব রাও সমগ্র ভারতসাম্রাজ্য পরিভ্রমণে বহির্গত হইয়াছিলেন। তিনি সংস্কৃত শিক্ষার উন্নতির জন্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছিলেন । তিনি বাঙ্গালোরে “ভারতীয় সংস্কৃত বিদ্যালয়” নামে একটি সংস্কৃত বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন । ইহাতে বিদ্যার্থীfদগকে প্রাচীন প্রথা অনুসারে শিক্ষা দেওয়৷ হইত। তিনি সব্বদাই ভারতীয় আদর্শ অনুসারে চfলতেন । তিনি অনেক পণ্ডিত একত্র করিয়া এক সভা গঠন করেন । তাহদের সহিত মিলিত হইয়া, তিনি অনেক সামাজিক মাইনের ংস্কার করিয়াfছলেন । তিনি র্তাহার মাতৃ ভtধাকে কেন্দ্র করিয়া, অনেক তথ্যপূর্ণ উপদেশ বাণী প্রচার করিয়। গিয়াছেন । মাতৃভাষাকে শিক্ষার প্রধান অঙ্গস্বরূপ করিবার জন্ত, তিনি যথা সাধ্য চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন । র্তাহার এই চেষ্ট। অনেকট। ফলপ্রস্থ হইয়াছিল। এইরূপে যখন তিনি মহাশূরের হিত সাধনার্থ মগ্ন ছিলেন, তখন বরোদার গাইকোবারের নিকট হইতে জীবনী-কোষ ه سا۹ نه ১৯১৪ খ্রী: অব্দে এক নিমন্ত্রণ পত্র আসিল । ইহাতে মিঃ মাধবরাওকে বরোদার দেওয়ানী পদ গ্রহণ করিবার জন্য আমন্ত্রণ করা হইয়াছিল। বরোদায় দেওয়ানী কাৰ্য্যগ্ৰহণ করিবার অল্পকাল পরেই, সেখানে একটি ব্যবস্থা পরিষদের অধিবেশন হয় এবং ইহাতে পুরোহিত ৰিল’ সম্বন্ধে আলোচনা কয় । এই কাৰ্য্য পরিচালনা করিবার জন্য একটি পরিষদের প্রয়োজন, ইহা ব্যবস্থা পরিষদের অধিকাংশ সভ্যগণ কর্তৃক অনুমোদিত হইয়াছিল । এইরূপে যে 'পুরোহিত বিল’ নামক আইন পাশ হইয়tfছল তাহ ১৯১৫ খ্ৰীঃ অব্দে ‘গভর্ণমেণ্ট গেজেট’ নামক পত্রিকাতে প্রকাশিত হইয়াছিল । ১৯১৪ খ্ৰীঃ অব্দে যখন ইউরোপে ইংরেজ ও জায়tণীর মধ্যে এক মহাযুদ্ধের সূত্রপাত হইল, তখন তিনি বরোদাতে জন সাধারণে 4 এক সভা আহবান করেন এবং বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন যে দেশে, ওয়ার রিলিফ ফাণ্ড’ গঠন করা হইয়াছে এবং প্রজার। যেন এই ফাণ্ডে টাকা জম দেয় । ১৯১৬ খ্ৰীঃ অব্দে বরেদীতে এক স্বাস্থ্য প্রদর্শনী হয় । এই কার্য্য মাধবরাও অতি যোগ্যতার সহিত সম্পন্ন করেন । সেই বৎসরেই বরোদাতে সংস্কৃত সাহিত্যের আলো চন}র জন্য এক সভা গঠন করেন এবং তাহার ফলস্বরূপ একটি সংস্কৃত পাঠশাল।
