ՏԵՏ সুলতান মামুদ উত্তরাপথের সাহিরাজ্য অক্রিমণ করিলে তাহার গতিরোধ করিতে গিয়া আনন্দ পালের পিতা নিহত হন এবং তিনি কর প্রদানের অঙ্গীকারে মুক্তিলাভ করেন । কিন্তু পরাজয় জনিত অপমানে ও দুঃখে পরে প্রাণত্যাগ করেন । সুলতান মামুদের ক্রমাগত প্রবল আক্রমণে আনন্দপাল পশ্চিম ও মধ্য ভারতের রাজন্তবর্গের সহিত মিলিত হইয়া আক্রমণের প্রতিরোধ করিতে বিপুল চেষ্টা করেন। ৪ - ৫ হিজরীতে আননা পাল পরলোক গমন করেন । আনন্দ পালের পুত্রের নাম ত্ৰিলোচন পাল । সম্ভবতঃ তিনি ৯৪ ০ খ্ৰীঃ অব পর্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন । আনন্দ পাল--কৰ্ত্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রদৰ্ত্তক আউল চাদ ফকিরের প্রধান বাইশ জন শিষ্যের অন্ততম ; অtউল চাদ দে থ । আনন্দপূর্ণ বিদ্যাসাগর – তিনি সম্ভবতঃ ১২০৫ —-১ so ০ খ্ৰীঃ অব্দের মধ্যে বর্তমান ছিলেন। তাহার বিদ্যাগুরু শ্বেতগিরি, দীক্ষাগুরু অভয়ানন্দ । তিনি ঐহর্ষের খণ্ডন-খণ্ড-খাদ্যের’ উপর ‘ফক্কিকা বিভঞ্জন’ নামক টীকা, বাদীন্দ্রের ‘মহাবিদ্যা বিড়ম্বনের’ টীকা, পদ্মপাদের ‘পঞ্চপাদিকার’ টীকা, সুরেশ্বরের, ব্ৰহ্মসিদ্ধির’ উপর ‘ভাবশুদ্ধি’ নামক টীকা প্রকাশাত্ম যতির পঞ্চপাদিক। বিবরণের উপর সমন্বয় সূত্র বিবৃতি’ নামক টীকা, ভারতীয়-ঐতিহাসিক আনন্দবোর্থেজ মহাভারতের মোক্ষধৰ্ম্ম পৰ্ব্বাধ্যায়ের উপর টীকারাত্ন’ নামে এক টকা, সুরেশ্বরের বৃহদারণ্যক কাৰ্ত্তিকের উপর ‘হায়কল্পলতিকা’ নামে এক টাকা, বৈশেষিক মতে ‘দ্যায়চন্দ্রিক।” নামক এক গ্ৰন্থ রচনা করেন । আনন্দবৰ্দ্ধন— খ্ৰীঃ নবম শতাব্দীর এক জন সংস্কৃত কবি । তিনি একজন উৎকৃষ্ট কাব্যসমালোচকও ছিলেন । তাহার দেবীশতক’ নামক পুস্তক বিশেষ প্রসিদ্ধ। উক্ত গ্রন্থমধ্যে অপভ্রংশ প্রাকৃতের পরিচয় পাওয়া যায় । ‘ধন্তালেী ক’ নামে তিনি একখানা শব্দ শাস্ত্র ও প্রণয়ন করেন । অভিনব গুপ্ত ‘লোচন’ নামে তাহার একখানা টীকা রচনা করেন । আনন্দবৰ্ম্ম—একজন আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রবেত্ত । তিনি ‘চিকিৎসা-সার-কৌমুদী নামে একখানা গ্ৰন্থ রচনা করেন । আনন্দবৈদ্য—একজন আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রবেত্তা । তিনি "যোগমালা’ নামে এক খানি গ্ৰন্থ প্রণয়ন করেন । আনন্দবোধেন্দ্র ভট্টারক—১২২৮ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি বর্তমান ছিলেন । তিনি ‘ন্তায়ম করনা’, ‘প্রমাণ-মালা’, ‘দ্যায়-দীপাবলী’ প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া অদ্বৈত মতের সমর্থন করিয়াছিলেন । তিনি ‘যোগবশিষ্ঠ রামায়ণের’ একখানি টীকা প্রণয়ন করিয়াছেন । তিনি বেদান্তসিদ্ধান্ত-স্থক্তিমঞ্জরীকার গঙ্গাধর সরস্বতীর শিষ্য ছিলেন ।
