আলীবর্দী ঐ সময়ে পারস্যের সম্রাট নাদিরশাহ ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন । দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদশাহ যুদ্ধে পরাজিত হইয়। তাহার বগুত। স্বীকার করিলেন। নাদির শাহের পক্ষীয় এক দূত বাঙ্গাল দেশে আসিয়া বাকী খাজনা দাবী করিলেন। সরফরাজ খ উপায়ান্তর না দেখিয়া বাকী খাজানা দিয়া, নাদির শাহের নামে মুদ্রা প্রচলিত করিতে ও মসজিদে খুৎবা পাঠ করিতে আদেশ দিলেন। এই ঘটনা অবলম্বন করিয়া পরবর্তী সময়ে সরফরাজ খাঁর শক্ৰ পক্ষীয়ের দিল্লীর সম্রাটকে সরফরাজ খার বিরোধী করিয়া তুলিলেন । এদিকে আলীবর্দী খাও নিরস্ত ছিলেন না । তিনি এই সুযোগে দিল্লীর রাজদরবারের অনেক লোককে অর্থদ্বারা বশীভূত করিলেন । সম্রাট মোহাম্মদ শাহ সরফরাজ খাঁর স্থলে আলীবর্দী খাকে বাংলার মুবাদার নিযুক্ত করিয় নিয়োগ পত্র প্রেরণ করিলেন । আলী বন্দী এখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলেন। ইতিপূৰ্ব্বেই সরফরাজ এই बड़यtइब्ब विरुग्न अदर्शङ झ्झेब्रांझिण्णन । মুরশিদাবাদ হইতে এগার ক্রোশ দূরে ঘেরিয়ার মাঠে ১৭৪০ খ্ৰীঃ আন্দে ( ১১৫৩ হি: ) উভয় সৈন্তে তুমুল যুদ্ধ হইল । গুলি বিদ্ধ হইয়। সরফরাজ খ৷ হস্তীপৃষ্ঠে চির শয়ন করিলেন । যুদ্ধান্তে লুণ্ঠনাবসর কালে হস্তীচালক মৃত জীবনী-কোষ २8९ নবাব কে মুরশিদাবাদে আনয়ন করিল এবং নবাব পুত্র মীর্জা আমনি গোপনে মুক্তথালিতে র্তাহাকে সমাহিত করিলেন । যুদ্ধের পরেই সৈন্তগণকর্তৃক নগর লুণ্ঠনের ভয়ে আলীবর্দী খাঁ। মুরশিদাবাদে আসেন নাই। দুই দিন যুদ্ধক্ষেত্রেই অবস্থান করিলেন । ੋੜ দিবসে নগরে প্রবেশপুৰ্ব্বক পেহন সেতুন নামক দরবার গৃহে প্রবেশ করিয়া সিংহাসনে উপবেশন করিলেন। উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উপহার গ্রহণ করিলেন । রাজপদ গ্রহণের সংবদি তোপধ্বনী ও বাদ্যভাণ্ড দ্বার। পিঘোষিত হইল । রাজকোষ অধিকার করিয়া প্রচুর ধনরত্ন লাভ করিলেন। তন্মধ্য । হইতে এক ক্রোর রৌপ্যমুদ্র ও সত্তর লক্ষ টাকা মূল্যের অলঙ্কারাদি দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদ শাহ ও তাহার অমাত্যবর্গের জন্য প্রেরিত হুইল । তাহার বিনিময়ে সম্রাট তাহাকে বাঙ্গালা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাবী পদের অনুমোদন পত্র প্রেরণ করিলেন এবং সপ্ত সহস্ৰ অশ্বারোহীর সেনাপতিপদ, মুজা-উল-মুলক ও স্থিসাম-উদ্দৌলা উপাধিতে ভূষিত করিলেন। র্তাহার তিন জামাতার মধ্যে জ্যেষ্ঠ নোয়াজিস ८भांश्शन, ¢नशंभ टछत्र, भ५jभ ऐनब्रम আহাম্মদ, শৌলৎজঙ্গ ও কনিষ্ঠ জৈন উদ্দিন শকং জঙ্গ উপাধি প্রাপ্ত হইলেন । জৈনউদিনের পুত্র মীর্জ
