পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসাদ বেগ তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আগমন করিলেন । আসাদবেগ – ১৬০০ খ্ৰীঃ অব্দে বিজাপুর পতি ইব্রাহিম আদিলশাহ ও দিল্লীর সম্রাট আকবরের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হয়। এই সময়ে ইব্রাহিম আদিল শাহের কন্যার সহিত সম্রাট আকবরের পুত্র রাজকুমার দানিয়ালের বিবাহ স্থির হয় । কন্যাকে দিল্লীতে অtনয়ন করিবার জন্ত আসাদবেগ দিল্লীর সম্রাটের রাজদূতরূপে বিজাপুরে গমন করিয়াছিলেন । তিনি বিজাপুর নগরীর এক বিস্তৃত বিবরণ লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন । র্তাহার গ্রন্থ পাঠ করিলে তৎকালীন বিজাপুরের ঐশ্বর্য্যের বিষয় অবগত হওয়া যায় । আসাদ উল্লা খা—বীরভূমের রাজা । ১৬৯৭ খ্ৰীঃ আব্দ হইতে ১৭১৮ খ্ৰীঃ আব্দ পর্য্যন্ত বীরভূমের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন ; আসাম উল্লা খাজা নবাব – ইনি ঢাকার প্রসিদ্ধ দানবীর মুসলমান জমিদার আবদুল গণি নবাব বাহাদুরের পুত্র । ১৮৪৬ খ্ৰী: ২২শে আগষ্ট ইহার জন্ম হয় । ইনিও পিতার স্তায় সদগুণ সম্পন্ন বদান্ত নবাব ছিলেন । দান শীলতায় তিনিও বদান্ত পিতারই মত সুবিখ্যাত ছিলেন । তিনি ঢাকা নগরীর বৈদ্যুতিক আলোর জন্য চারিলক্ষ টাকা প্রদান করিয়াছিলেন । অন্যান্য জীবনী-কোষ سat& দানও যথেষ্ট ছিল । তিনি পিতার স্মৃতি রক্ষার্থ পাঁচ হাজার টাকা আয়ের ভূসম্পত্তি ট্রাষ্টিগণের হস্তে অর্পণ করিয়া গিয়াছেন । তাহার আয় হইতে ঢাকা নগরীর দুঃস্থ লোকের সাহায্যাৰ্থ ব্যয় হইয়া থাকে গবর্ণমেণ্ট তাহাকে কে, সি, এস, আই, উপাধি দিয়া সম্মানিত করিয়াছিলেন। তিনি বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভার সদস্তারূপে মনোনীত হইয়। কার্য্য করিয়াছেন ; পারিবারিক জীবনে এই সদাশয় নবাব সুখী ছিলেন না । জেষ্ঠপুত্রের অকাল মৃত্যুতে ও পত্নী বিয়োগে তাহার মনকে শোকাকুল করিয়াছিল । তাহাতে তিনি ভগ্ন হৃদয় হইয়। মানসিক ক্লেশে দিন পাত করিতেছিলেন । ১৯০১ খ্ৰীঃ আবেয়ে ১৬ই ডিসেম্বর এই সদাশয় নবাব দেহ ত্যাগ করেন । আসান উল্লা খা — ইনি নবাব মুর্শিদকুলি খার আমলে হুগলীর ফৌজদার ছিলেন । নবাবের অনুমতিক্রমে ইনি স্বরূপপুরের দুরন্ত জমিদার সুজাত খা ও নিজাবৎ খাকে ধৃত করিয়া মুরশিদাবাদে প্রেরণ করেন । নবাব তাহাদিগকে চিরকারাবাস দণ্ডে দণ্ডিত ও জমিদারী বাজেয়াপ্ত করেন। তাহারা বিদ্রোহের স্বচনা করিয়া পাশ্ববৰ্ত্তী স্থান এবং নবাব সরকারের চালানী ঘাট হাজার টাক। লুণ্ঠন করিয়া ছিলেন ।