葱》>象 পুত্ৰ যড়ানন কাৰ্ত্তিকের উৎপন্ন হন। শিব-ধৰ্ম্ম-১১। (৯) শিব-তেজোৎপন্ন পুত্রই অমুর নিধন করিয়া দেবগণকে নিঃশঙ্ক করিবেন, এই বিষয় অবগত হইয়া, দেবগণ হুতাশনকে মহেশ্বরের সমীপে প্রেরণ করেন । পাবক মহেশ্বর কষ্টতে তেজ গ্রহণ করিয়া, বিচরণ করিতে লাগিলেন । ছয়জন ঋষিপত্নী অগ্নিকে তদবস্থ দেখিয় তাহার প্রতি স্পৃহাবতী হন । ঋতুস্নাত ঋষিপত্নী গণ অতঃপর অগ্নি হইতে গর্ভধারণ করিলেন । তখন তাহারা ভীত হইয়া জাহ্নবীজলে প্রবেশ করিলেন। সেই রূপ করিলে, সেই অগ্নিতেজ-উৎপন্ন গর্ভ তাঙ্গদের উদর হইতে নির্গত হইয়া ‘সলিলোপরি ভাসিতে লাগিল । ক্রমে বায়ুবেগে সেই অগ্নিতেঙ্গ একত্রীভূত হইলে, তাহা হইতে একরূপধর ষড়ানন কুমার উৎপন্ন হইলেন । যে ছয় পত্নী অগ্নিতেজ ধারণ করেন, তাহারাই ষট কৃত্তিক নামে খ্যাত ছিলেন। সেই জন্য র্তাহাদিগের গর্ভনির্গত অগ্নির তেজোৎপন্ন বালক কার্তিকেয় নামে খ্যাত হন। ঋষি পত্নীগণ গর্ভ ত্যাগ । জীবনী-কোৰ—ভারতীয়-পৌরাণিক । করিলেন । কাৰ্ত্তিকের সমুদয় বিষয় অবগত হইয় তাহাদিগকে গৌতমী গঙ্গায় অবগাহনাস্তে মহেশ্বরের অৰ্চনা করিয়া শুদ্ধ হইতে বলিলেন। ব্রহ্মপু৮২ । (৯) দেবগণের শঙ্কিত প্রার্থনায় হুতাশন পারাবতের রূপ ধারণ করিয়া শিব-পাৰ্ব্বতীর প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করেন। শঙ্কর হুতাশনকে চিনিতে পারিয়া ক্রুদ্ধ চিত্তে বলিলেন “যেহেতু তুমি এইস্থানে অষ্টায় ভাবে প্রবেশ করিয়াছ ; তজ্জন্ত তোমাকেই শিবতেজ গ্রহণ করিতে হইবে।” এই কথা বলিয়া মহেশ্বর পাবকের উপরে নিজ তেজ: নিক্ষেপ করিলেন । হুতাসন দেবগণের মুখ স্বরূপ । সুতরাং সেই শিব-বীৰ্য্য হু তাশনের উপর পতিত হইয় অংশত: দেবগণের জঠরেও প্রবেশ করিল এবং পরে দেবগণের জঠর ভেদ করিয়া নিষ্ক্রান্ত হইল। ঐ নিষ্ক্রান্ত শিবতেজ হইতে শতযোজন বিস্তৃত এক পারদ সরোবর স্বল্প হইল। বহ্নি ও শিবতেজ ধারণ করিতে অসমর্থ হইয়া তাহা গঙ্গায় নিক্ষেপ করিলেন । গঙ্গ। সেই তেজে দহমান হইয়া, তরঙ্গদ্বারা তাহা উৎ করিয়া, নিজ নিজ পতি সকাশে গমন । ক্ষিপ্ত করিলে, তাহা হইতে শেত করিলে, তাহারা যোগবলে সমস্তই | পৰ্ব্বত সমুদ্ভুত হইল । অতঃপর হিমা জানিতে পারিয়া তাহাদিগকে বিতাড়িত করিয়া দিলেন । কৃত্তিকাগণ তখন নারদের পরামর্শে ষড়ানন সমী লয় পৰ্ব্বতোপরি হোমে নিযুক্ত মহর্ষিগণদ্বারা আহ্বত হইয়া পাবক তথায় গমন করিলেন। সেই যজ্ঞস্থলে সমা পেই গমন করিয়া সকল বিষয় নিবেদন | গত ঋষি পত্নীগণকে দর্শন করিয়া হত
