জীবনী-কোষ—ভারতীয়-পৌরাণিক । করুন।” ছয় মহধিপত্নী তখন “আমদের সকলের অক্ষয় স্বৰ্গ লাভ হউক” বলিয়া প্রার্থনা করিলেন। স্বদ “তথাস্ত" বলিয় তাহদের মনোরখ পূর্ণ করিলেন। তখন শতক্ৰতু কুমারকে বলিলেন যে, রোহিণীর কনিষ্ঠা ভগিনী অভিজিৎ পৃথক ভাবে প্রাধান্ত লাভের ইচ্ছায় তীব্র তপস্যা করিতেছেন। ষড়ানন যেন ছয় মুনিপত্নীকে র্তাহার স্থানে স্থাপন করেন। স্কন্দ তাহাতে সম্মত হইয়া, সেই মুনিপত্নীগণকে স্বর্গে স্থাপন করিলেন। র্তাহার। কুমারের নির্দেশে স্বর্গে গমন করিয়া ষট কৃত্তিক নামে পরিচিত হইলেন। অত:পর দেবগণের শঙ্কা দূর করিবার জন্ত স্কন্দ দেবসৈন্ত সহ তারকাসুর নিধনে যাত্রা করিলেন এবং মহাসংগ্রামে তাহাকে নিধন করিলেন । স্কনা-মাহেকুমা-২৯, ৩০, ৩২ (১১) পূৰ্ব্বকালে একবার অগ্নি-মধ্যে মহেশ্বরের তেজ নিক্ষিপ্ত হয়। তাহার প্রভাবেই হব্য বাহন দীপ্তিশালী ও তেজস্বী হন। হুতাশন কিন্তু সেই শিব-তেজ বহন করিতে অসমর্থ হইয়া ব্রহ্মার নির্দেশে তাহা গঙ্গামধ্যে নিক্ষেপ করেন । ভাগীরথীও সেই তেজ বহন করিতে অসমর্থ হইয়া, হিমালয়ের শরস্তম্বে তাহ নিক্ষেপ করেন। সেই শরবণেই শিববীৰ্য্য হইতে কুমার উৎপন্ন হইলেন। সেই নবজাত শিশুর দেহদু্যতি চারিদিক ২১১৫ প্রদীপ্ত হইল। তখন পুত্রাভিলাষিণী ছয়জন কৃত্তিক শরবণে সেই অপূর্ব কুমারকে নিরীক্ষণ করির “ইনি আমার পুত্র, ইনি আমার পুত্র”, এই বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন । কুমার তখন তাহাদের আগ্রহ দেখিয়া ষড়ানন হইয়া এককালে তাহাদিগের ছয়জনের ছয়টি স্তন পান করিতে লাগিলেন। ভাগীরথী হিমালয়ের যে শিখরে কুম রকে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন, সেই শিখর সুবর্ণময় হইয়া শোভা পাইতে লাগিল । শান্ত প্রকৃতি, তপোনিষ্ঠ, বলবীৰ্য্য সম্পন্ন, চক্সের ন্যায় প্রিয়দর্শন কুমার সতত সেই শরস্তম্বে শয়ন থাকিতেন । তথায় গন্ধৰ্ব্ব ও মুনিগণ র্তাহার স্তুতিপাঠ এবং নৃতগীতকুশল শোভন দেবকন্তাগণ নৃত্য করিতেন । নদীগণের প্রধান গঙ্গা কুমারের উপাসনা এবং বসুন্ধর দিব্যরূপ ধারণ করিয়া তাহাকে ধারণ করিতেন । সুরগুরু বৃহস্পতি র্তাহার জাতকৰ্ম্ম সম্পাদন করিলেন এবং চরিবেদ, চতুষ্পাদ ধনুৰ্ব্বেদ, সমুদয় অস্ত্র এবং স্বয়ং দেবী সরস্বতী ইহার মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া তাহার সমীপে সমুপস্থিত থাকিতেন। একদিন ঐ শরবণে শয়ান থাকিতে থাকিতে কুমার দেখিতে পাইলেন যে, মহাদেব অভূত দর্শন, বিকৃত-বেশধারী ভূতগণে পরিবেষ্টিত হইয়া পাৰ্ব্বতীর সহিত উপবিষ্ট আছেন। তখন কুমার তাহার সমীপে
